কল্যাণপুরে চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন রাস্তা নির্মাণ

এম.এম কামাল : চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুরে চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন রাস্তা নির্মান করেছেন। গত ৪০-বছরের দুর্ভোগ লাঘব, চলাচলের রাস্তা পেলো।

কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানউল্লাহপুর গ্রামের সাধারণ জনগণ। রাস্তাটি বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল পদ্ধতি (বেকুর) মাধ্যমে কাজ সুরু করা হয় এবং ৩-দিনের মাথায় রাস্তার সমাপ্তি করে উদ্বোধন করেন, কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী।

দীর্ঘ ৪০ বছর পর সীমাহীন দুর্ভোগের অবসান ঘটল আমানউল্লাহপুর গ্রামের প্রায় ১`শ পরিবারের। চলাচলের রাস্তা পাওয়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানউল্লাহপুর এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে। বুধবার (২৮ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাস্তাটি উদ্বোধন করেন, কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কল্যাণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ জামাল গাজী, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এম.এম কামাল, মোঃ দ্বীন ইসলাম বাবলু, কল্যাণপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জসিম বেপারি, আমানউল্লাহপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর কবির, মোঃ ফারুক গাজী, বাদশা হাজ্বীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি। জানা গেছে, আমানউল্লাহপুর গ্রামের ১০০টি পরিবার এ-এলাকায় লোকের বসবাস করেন। কিন্তু এসব বাসিন্দার যাতায়াতের কোনো সুব্যবস্থা ছিল না।

ইউনিয়নের আদম খান সড়ক হইতে মৃধ্যা বাড়ি পর্যন্ত একহাজার ফুট লম্বা এবং পাশে ১৬ ফিট নতুন রাস্তা তিন দিনে কাজ সমাপ্তি হয়।

আদম খান সড়ক হইতে মৃধ্যা বাড়ি পর্যন্ত প্রায় একহাজার ফুট লম্বা এবং পাশে ১৬ ফিট বিল ছিল রাস্তা ছিলনা, যা প্রায় ৪০ বছর ধরে অবহেলিত। একাধিকবার জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হলেও এলাকাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর উদ্যোগে রাস্তাটির ভরাটকাজ শুরু হয়। তিন দিনে ১৬ ফুট প্রশস্ত এবং একহাজার ফুট লম্বা রাস্তাটির সংস্কার করা হয়।

স্থানীয় মোঃ ইদ্রিস খান, নুরু, রিপন, আলমগীরসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, রাস্তাটি না থাকায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারতাম না। নানা সমস্যায় পড়তে হতো। এমনকি কেউ মারা গেলে লাশ নিয়ে বের হওয়ার উপায় ছিল না। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। অনেক বছর পর নতুন রাস্তাটি তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগান্তির লাঘব হলো।

স্কুল শিক্ষার্থীরা জানায়, আগে আমরা অন্যের বাড়ির ভেতর দিয়ে স্কুলে যাইতাম। অনেক সময় কটুকথা শুনতে হতো। এখন রাস্তা নির্মাণ হয়েছে, সহজে স্কুলে যেতে পারব। আর কটুকথা শুনতে হবে না।

বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মণ্ডলী বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর পর নতুন রাস্তা পেলাম।’ এ জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বলেন, আমার দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা ছিলো এই রাস্তাটি। বিগত সময়ে কোনো জনপ্রতিনিধিও রাস্তাটি করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেননি। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আপাতত মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের দুর্ভোগ দূর করার চেষ্টা করেছি মাত্র।’ ইউনিয়ন পরিষদের এ মেয়াদেই রাস্তাটি পাকা করে দেবেন বলে আশা ব্যত্ত করেন তিনি।

চেয়ারম্যান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনসাধারণের চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে রাস্তাটি পাকাকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত খবর