চাঁদপুর যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার :চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে রাতে দুটি শিশু উদ্ধার করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। অবশেষে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মুহসিন আলমের অক্লান্ত চেষ্টায় উদ্ধার হওয়া শিশুদের পরিবারের খোঁজ মিলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশু দুটির পরিবার চাঁদপুর মডেল থানা আসার পর ওসি মুহসিন আলম তাদের জিম্মায় দিয়ে দেয়।

ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পাশে বসবাসকারী ইউসুফের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর ঝুমুর ও সেলিমের মেয়ে তাবাছসুম একই সাথে ঘর থেকে বের হয়ে সদরঘাট চলে আসে। পরে তারা চাঁদপুরের লঞ্চে উঠে পড়লে কয়জন যাত্রী তাদেরকে কাঁদতে দেখে বাবুরহাট নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিলে মডেল থানার এসআই নয়ন তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তাদের সন্ধান পেতে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মহসিন আলম ঢাকায় বিভিন্ন থানায় সংবাদটি প্রেরণ করে অবশেষে তাদের পরিবারের সন্ধান খুঁজে পায়।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন পোর্টাল আইএনএন টিভিতে নিখোঁজ ২ শিশুর সংবাদ প্রচার হওয়ার পর ব্যাপক শেয়ার হয়। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া শিশুদের পরিবারের স্বজনরা মডেল থানার ওসি মোঃ মহসিন আলম এর সাথে যোগাযোগ করে চাঁদপুরে চলে আসে। উদ্ধার হওয়া দুইজন শিশু একে অপরের বান্ধবী। বাড়ি থেকে তারা দুজন না বলে লঞ্চযোগে চাঁদপুরে আসার পর তাদের পরিবারের স্বজনরা ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করে।

নিখোঁজ হওয়া সন্তানদের ফিরে পেয়ে শিশুদের মা তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বহু খোঁজাখুঁজি পর পুলিশের সহযোগিতায় তাদের সন্তানদেরকে খুঁজে পেয়ে খুবই আনন্দিত। চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ‍মুহসিন আলম নিজে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নয় তিনি একজন ফেরেশতা বলে আখ্যায়িত করেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মুহসিন আলম জানায়, লঞ্চ থেকে উদ্ধার হওয়ার শিশু দুজনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার পর তার পরিবারের সন্ধান পেতে অনেক চেষ্টা করা হয়। অবশেষে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এই অবুঝ দুই শিশুদের তার পরিবারের কাছে দিতে পেরে নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। সন্তানরা কোথায় যায় কি করে তার দেখা দায়িত্ব পরিবারের তাই গার্ডিয়ানরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার অনুরোধ করেন।

সম্পর্কিত খবর