গাজীপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা!

স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ১ নং গাজীপুর ইউনিয়নের মনিপুর গুচ্ছ গ্রামের সরকারি পুকুর থেকে বেআইনীভাবে মাছ চাষের ঘটনায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে ১ নং আসামি করে ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কে ২ নং আসামি করে মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন, সমবায় সমিতি নামের সদস্যবৃন্দু।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয় আনুমানিক ৫/৬ শ’কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করেন গাজীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সবুজ পেদা।

গেলো ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার উপজেলার ১ নং গাজীপুর ইউনিয়নের মনিপুর সমবায় সমিতির পুকুর থেকে এই মাছ চুরির ঘটনা ঘটে।১৯ ফেব্রুয়ারী মনির ঢালী পিতা শাহজাহান ঢালী বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। সি আর মোকাদমা নং ২০২৪। দন্ড বিধি, ৩৮৫/৩৭৯/ ৫০৬(২) ৩৪ ধারায়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী মোঃ মনির ঢালী জানান আমাদের সমিতির পুকুর থেকে বিভিন্ন সময়ে মাছ চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার আমাদের অনুপস্থিতিতে ২০/২৫ জন চোরচক্র আমাদের পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাবার সময় আমি হাইমচর থানা পুলিশকে অবগতি করলে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৫/৬ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করেন। আর তার আলোতেই আমি সমিতির ২৯ জন সদস্যের পক্ষে বাদি হয়ে আইনের আশ্রয় নেই। এবং বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান কেও অবগতি করি।

আর উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুকুর থেকে মাছ চুরির বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়েছে, এবং যতটুকু জানি ভোক্তভুগিরা আদালতে মামালা করেছে তাই বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

তাছারা হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন মিয়া জানান যে,১৬’ই ফেব্রুয়ারী হাইমচর থানায় একটি ফোন আসে,বিষয়টি এই যে গাজীপুর মনিপুর ইউনিয়ন আওতাধীন গুচ্ছ গ্রামের সরকারি পুকুর থেকে কেউ মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। শোনামাএ আমার নির্দেশে থানার ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ট্রলারে থাকা মাছ গুলো জব্দ করে এবং ট্রলার চালকের জিম্মায় মাছ গুলো দিয়ে আসেন। তবে এই বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।

এদিকে মামলার আসামি গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সবুজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুকুরটি সম্পূর্ণ সরকারি এবং সরকারের গুচ্ছ গ্রামের পুকুর,বলে আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর মাছ ফেলেছি, এবং চেয়ারম্যান হিসেবে আমি মাছ ধরে গুচ্ছ গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করি। তাছারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,এই পুকুরের মালিক বা ব্যক্তি না। তিনি আরো বলেন ভূয়া নামে বে-নামের একটি সমিতি উল্লেখ করে তারা কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে আমি দাবি করি, যেহুতু তারা আদালতের স্বরণাপর্ণ হয়েছেন, সেহুত আইনের মাধ্যমেই সঠিক বিচার হউক।

সম্পর্কিত খবর