চাঁদপুরে বিয়াইনের সাথে পরকীয়া করে ধরা পরলো!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়ার সম্পর্ক মোবাইল ফোনে কথা আদান-প্রদান ঘটনা জানাজানি হলে পরিকল্পিতভাবে ফোন করে এনে আবু বক্কর নামে এক যুবকের পুরুষ অঙ্গ কেটে দিল বেয়াই ও তার স্ত্রী।

গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রাস্তার পাড় থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে ডাক্তার।

একটি লোমহর্ষকর ঘটনা ঘটলো মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৫ নং উপাধি দক্ষিণ ইউনিয়নের দিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে।
ঘটনার পর থেকে বেয়াই শাহজাহান মিজি ও তার স্ত্রী শারমিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে।

পুরুষ অঙ্গ হারানো আবু বক্করের ছোট বোন খাদিজাকে ডিঙ্গা ভাঙ্গা গ্রামে শাহজাহানের ছোট ভাই জসিম কাছে বিয়ে দেয়। সেই সুবাদে আবু বক্কর বোনের শশুর বাড়িতে আসা যাওয়া করত। প্রবাসে যাওয়ার জন্য এক বছর পূর্বে বেয়াই শাহজাহানকে আড়াই লক্ষ টাকা দেয়। বিদেশে না পাঠিয়ে সেই টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে অবশেষে বেয়াই শাহজানের স্ত্রী শারমিন মোবাইল ফোনে আবু বক্করের সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়।

পরকীয়া প্রেমের ঘটনা জানতে পেরে বেয়াই শাহজাহান পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রী শারমিনকে দিয়ে ফোন করে রাতের বেলা আবু বক্করকে ডিঙ্গা ভাঙ্গা এলাকায় নিয়ে আসে।
আর সে সময় বেয়াই শাহজাহান তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের অজুহাত দেখিয়ে আবু বক্করকে ধরে গোপন অঙ্গ কেটে দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। এ সময় পথচারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

পরকীয়া প্রেম ও ফোন করে ডেকে এনে গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
গোপন অঙ্গ হারানো আবু বক্কর মতলব উপাধি দক্ষিণ ইউনিয়ন বহুরী গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ি চান মিয়া প্রধানিয়ার ছেলে।
স্ত্রী সন্তান নিয়ে আবুবক্কর ঢাকায় বসবাস করে ঘটনার দিন রাতে ফোন পেয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসলে এই ঘটনাটি ঘটে।

পরিকল্পিতভাবে আটকে আবু বক্কর এর গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনায় অপরাধী বেয়াই শাহজাহান ও তার স্ত্রী শারমিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাই এলাকাবাসী।

 

সম্পর্কিত খবর