চাঁদপুরে প্রথম পরীক্ষামূলক মুক্তা চাষ করছে মমিন কবিরাজ

বিশেষ প্রতিনিধি: গহনা নারীদের অত্যন্ত প্রিয় এবং অধিকাংশ মহিলাদের জীবনের অংশ। গহনা না হলে মহিলাদের পোশাক অসম্পূর্ণ মনে হয়। এটি তাদের সৌন্দর্য ও শৈলীর একটি প্রতীক হিসাবে পরিচিত। নারীরা গহনা পড়তে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বিশেষ করে মুক্তার গহনা নারীদের সৌন্দর্যের সঙ্গে আভিজাত্যও বাড়িয়ে দেয় বহুগুন। তাই দিনদিনই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মুক্তার গহনার।

চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে মুক্তা চাষ। নতুন নতুন উদ্যোক্তারা গড়ে তুলছেন মুক্তার খামার।প্রথমবারের মত চাঁদপুরেও মুক্তার খামার গড়ে তুলেছেন মমিন কবিরাজ।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাখরপুর গ্রামের কবিরাজ পাড়ার আব্দুল মতিনের ছেলে মমিন কবিরাজ চাকরি করেন পূবালী ব্যাংকে। চাকরির পাশাপাশি ইউটিউবে ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাত্র ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে গড়ে তুলেন মুক্তার খামার। মাত্র ৮-৯ মাস পর তার এই মুক্তার খামার থেকে তিনি তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আয়ের প্রত্যাশা করছেন।

মমিন কবিরাজ জানান, পরীক্ষামূলক ভাবে ১০৩৪ টি ঝিনুক দিয়ে। তিনি তার নিজের পুকুরে এই মুক্তার খামার তৈরি তুলেছেন। তিনি এই সব ঝিনুক পটুয়াখালী থেকে সংগ্রহ করেছেন। এবং মুক্তার ডিজাইন ভারত থেকে আমদানি করে নিয়ে এসেছেন।
মমিন কবিরাজ বলেন, মুক্তার ডিজাইন নিউক্লিয়ার দিয়ে সার্জারির মাধ্যমে ঝিনুকে নিউক্লিয়াস প্রতিস্থাপন করতে হয়। তারপর ৮-১০ মাস পর একটি ঝিনুকে পরিপূর্ণ একটি মুক্তা তৈরি হয়। আমি প্রথমবার মুক্তা চাষ করছি। যদি বার সফল হই। তবে ভবিষ্যতে আরও বড় করে মুক্তা চাষের পরিকল্পনা করছি।

মমিন আরো, বাংলাদেশে এখনো মুক্তার বাজার সেভাবে গড়ে ওঠেনি। ভারতে প্রচুর পরিমান মুক্তার চাহিদা রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের মুক্তার বাজার গড়ে ওঠেনি। তাই উদ্যোক্তাদের মুক্তা বিক্রি করতে অনেকটা ব্যাক পেতে হয়। আমি প্রত্যাশা করি সরকার মুক্তা চাষীদের জন্য বাংলাদেশ একটি সুপরিকল্পিত মুক্তার বাজার তৈরি করেন উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত খবর