![](https://chandpurkhobor.com/wp-content/uploads/2023/09/biddut.jpg)
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়ায় গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। চাঁদপুর জেলা বিভিন্ন উপজেলা কৃষিজ ফসল ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে চাঁদপুর শহর। অন্যান্য উপজেলায়ও বিদ্যুতের সমস্যা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিশেষ করে চাঁদপুর পল্লী বিদুৎ বিপযয় হয়ে পড়েছে । অনেক এলাকা এখনও অন্ধকারে ।তবে সংযোগ দিতে দিনরাত চেস্ট করছেন পল্লী বিদুতের কমীরা । ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় শহরের রাস্তা-ঘাট গুলোও অনেকটা ফাঁকা ছিলো।
সন্ধ্যার পর শহর যেনো ভুতুড়ে পরিবেশে পরিণত হয়। সকল দোকানপাট ছিলো বন্ধ। বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকার রাস্তায় ছিল না লোকজন। শুক্রবার বিকালে পৌনে এক ঘন্টার মতো দমকা হাওয়ায় শহরের গুয়াখোলা, বড় স্টেশন সড়কের রেলওয়ে আক্কাস আলী স্কুলের সামনের রাস্তায়, জোড়পুকুর পার,ছায়াবানী মোড়, পুরান বাজার নিতাইগঞ্জ এলাকায় বড় গাছ উপরে পরে বসত ঘরের উপর এমনি ভাবে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্হানে বড় বড় গাছ উপরে পরে। শুক্রবার দুপুর ১২ টা থেকে গতকাল শনিবার রাত ৮ টা পর্যন্ত গুয়াখোলা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যানরা জানান, শহরের বেশ কিছু স্থানে বিদ্যুতের লাইনে গাছ উপড়ে ও গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তারও ছিঁড়ে গেছে। ডালপালা অপসারণ করে সংযোগ যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে কাজ চলছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে ও মিধিলির প্রভাবে শহরের অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন পাড়া-মহল্লাবাসী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হয়নি কেউ। শহরের রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকায় বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী মানুষ।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। অতি বৃষ্টিতে নদীতে সামান্য পানি বাড়লেও তা বিপদ সীমার অনেক নীচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। মিধিলি’র প্রভাবে দমকা হাওয়া, বৃষ্টি ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়েছে বেশ।
সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের কৃষক ফজল বলেন, বৃষ্টিতে মাঠের আমন ধান ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এছাড়া শীতকালীন কপি, টমেটো, শাকসহ সবজির ক্ষতি হয়ে গেছে।