চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি

মোঃ মহসিন হোসাইন: চাঁদপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে আবহাওয়া ছিল অস্বাভাবিক। জনগনের দুভোগ চরমে পৌঁছেছে ।সকাল থেকেই গুটি গুটি বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়ায় কেটে ছিল দিনটি।

রাত শেষে ১৭ নভেম্বর ভোর ৬ টা থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি ও ভর্ষন। এতে করে চাঁদপুর শহরের কোথাও ছিল না গ্যাস সংযোগ ও বিদ্যুৎ। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করলেও, সারাদিন লাইন গ্যাস সংযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন অবস্থায়।

বিশেষ করে গাছপালা ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় গ্রামে পল্লী বিদুতের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি । বৈরি আবহাওয়া, অতিবৃষ্টিও ভারি ভর্ষন সহ শুক্রবার দিনটি ছিল সাধারণ মানুষের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। এসময় শহরের মধ্যে ও আশ্বপাশের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তবে,খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শহরবাসী অনেক দুর্ভোগে পড়েছে এবং পাশাপাশি গ্যাস সংযোগ ছিলনা বিধায় সকাল থেকে অনেকেই খাবার রান্না করতে না পেরে হোটেল গুলোতে গিয়ে ভীড় করে। কিন্তু সেখানেও ছিলনা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের ব্যাবস্থা। বিশেষ করে, চাঁদপুর পুরান বাজার, বাবুরহাট, ষোলঘর, ওয়ারলেস এলাকা সহ, শহরের কোথাও লাইন গ্যাস সংযোগ ছিল না বললেই চলে।

এদিকে, বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে গাড়ি চলাচল কম থাকায় জরুরি প্রয়োজনে অনেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হলে দেখা গেছে শহরের ছোটখাটো যানবাহন গুলোর ভাড়া ছিল আগের চেয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ গুন। যেখানে ১০ টাকার ভাড়া ছিল সেখানে বৃষ্টি জনিত কারণে রিক্সা ভাড়া ৫০ টাকা দিয়ে যেতে হয়েছে সাধারণ মানুষের। তবে,অটোরিকশা সহ অন্যান্য ছোটখাটো যানবাহন গুলো সন্ধ্যার পর পর বৃষ্টি থামলে তাদেরকে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে।

তবে, এসময় গাড়ি ভাড়া আগের মতোই ন্যায্য মূল্য নিতে দেখা গেছে। সর্বোপরি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লেগেছে । ১৬ নভেম্বর চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এর নেতৃত্বে দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনার জন্য একটি পূর্ব প্রস্তুতি মূলক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

পূর্ব প্রস্তুতিটি ছিল চাঁদপুর জেলা বাসীর জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল ব্যাবস্থা, খাদ্য, জেলেদেরকে নদীর কিনারায় অবস্থান নেওয়া, রেড় এলার্ট জারি করা সহ দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনার প্রশাসনিক সকল নিরাপত্তা।

সম্পর্কিত খবর