মৈশাদীতে শতবছরের মসজিদের পথ বন্ধ করার চেষ্টার অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ির এছাকিয়া জামে মসজিদ রাস্তার বন্ধ কারার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে পড়েছে একটি মহল, নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে শত বছরের ও বেশি পুরনো মসজিদের একমাত্র পথটি বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তারা, সম্প্রতি রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য কয়েক বার চেষ্টা করেছেন, এমনটাই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ মসজিদের মুসল্লীগন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা গেছে।

জানা যায়, মৈশাদীর ২নং ওয়ার্ডের মৃত রশিদ খন্দকারের মেয়ে নাছরিন আক্তার লিপি (৪৫), বিউটি আক্তার (৫০), তাহেজ্জুদ আলী খন্দকারের ছেলে তরিক উল্ল্যাহ খন্দকার (৭০), মোহাম্মদ আলী খন্দকার (৩৫)সহ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যাক্তি মিলে রবিবার সকালে খন্দকার বাড়ীর এছাহাকিয়া জামে মসজিদের পথের মাটি কেটে পেলে দেয়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে দূত সময়ে মধ্যে রাস্তার পাশের মাটি ও কিছু গাছ কেটে তারা চলে যায়। স্থানীয়রা নাছরিন আক্তার লিপির ভাড়াটিয়া লোকদের দেশীয় অস্ত্রের কারনে অসহায় হয়ে পড়েন। সকাল বেলায় হওয়ায় ঘটনাস্থলে তেমন লোক ছিলনা বলে ও তারা জানান। এ নিয়ে চরম আতংকে রয়েছে মসজিদের মুসল্লীসহ এলাকাবাসী।

খন্দকার বাড়ির মৃত আব্দুল মান্নান খন্দকারের ছেলে মোঃ হারুন খন্দকার, নুরু খন্দকার, মৃত রুস্তুম আলী খন্দকারের ছেলে রুহুল আমিন খন্দকার, ফেরদাউস খন্দকার, মৃত আনসারী খন্দকারের ছেলে আবু তাহের খন্দকার, অজুদ খন্দকারসহ এলাকার মসজিদের মুসল্লীগন জানান, আমরা এখন চরম আতংকে আছি, যেভাবে নাছরিন আক্তার লিপি দলবল নিয়ে এসে রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য মাটি কেটে পেলে দিয়েছে, সে একজন বাজে প্রকৃতির লোক, আমাদের এ রাস্তাটি শত বছরেরও বেশি পূরোনো, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকেই মানুষ এখান দিয়ে যাতায়েত করছে, মসজিদে যাচ্ছে, আমরা ও আসছি, যাচ্চি, আমরা একই বাড়ি লোক, আমাদের সম্পতি দিয়ে রাস্তাটি হওয়া সত্তে ও নাছরিন আক্তার লিপি হঠাৎ করে রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য উম্মাদ হয়ে উঠেছে।

খন্দকার বাড়ির অধিকাংশ লোক বলেন, ১৯৭২ সালে এছাহাকিয়া জামে মসজিদ নির্মান করা হয়, নির্মানের পর থেকেই এলাকাবাসী এ রাস্তা দিয়েই মসজিদে যাতায়েত করেন, এমনকি এ রাস্তাটি দিয়ে মসজিদের মুসল্লী ছাড়া ও মসজিদের আশ-পাশের ১০টি বাড়ির কয়েক শতাধিক মানুষ নিয়মিত যাতায়েত করে থাকেন। এ মসজিদে ১০ থেকে ১৫টি বাড়ির মুসল্লীগন নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজসহ জুম্মার নামাজ আদায় করেন। খন্দকার বাড়ির পূর্ব পুরুষ থেকে এ রাস্তাটি দিয়ে মসজিদের মুসল্লীগনসহ এলাকাবাসী যাতায়েত করেন, কিন্তু নাছরিন আক্তার লিপি, হঠাৎ করে, বলা নেই কয়া নেই রাস্তাটি নিজের বলে দাবি করছে। গতকাল রবিবার সকালে শিলন্দীয়ার কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লোক এনে সাবাল, দা, চেনাসহ বিভিন্ন দেশীয় অংশ নিয়ে এসে রাস্তার পাশে থাকা গাছ কেটে রাস্তার মাটি কেটে পানিতে পেলে দেয়। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের মত এসে তারা কাজ করে চলে যায়, সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের কারনে এলাকাবাসীসহ আমরা নিরবে রাস্তা ও গাছ কাটার দৃশ্য দেখেন।

এ নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার বেলা ১১টায় এলাকাবাসী ঝড় হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের উপস্থিত হয়ে তারা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান বরাবর তারা অভিযোগ করেন।

ওয়ার্ড মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন বেপারী রাজু বলেন, সকাল পৌনে ৮টায় সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনা স্থলে আসি, এসে রাস্তার মাটি কেটে পেলে দেওয়ার বিষয়টি দেখি, রাস্তাটি অনেক পুরোনো, নাছরিন আক্তার লিপি যে ভাবে কাজটি করেছে, তা সত্যি দুঃখ্য জনক, এটা কারোই কাম্য না, শত বছরের ও বেশি পুরোনো রাস্তাটি হঠাৎ করে নিজেদের দাবি করা যুক্তিযুক্ত নয়, নিজেদের হলে ও পাবলিকের যাতায়েতের জন্য পথ বন্ধ করা কতটুকু আইনগত, ন্যায় সংঘত, সে এ করা মটেই সঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাছরিন আক্তার লিপি বলেন, এ সম্পত্তি আমরা ক্রয় করেছি, কিছু লোক তাদের সাত্তের জন্য এখন মসজিদকে ব্যবহার করে আমার সম্পত্তি জোর করে দখল করতে যায়, আমি রাস্তা বন্ধ করার পক্ষে না, আমি রাস্তা দিবো, তবে তা নিয়ম অনুযায়ী, পুরো রাস্তা আমার সম্পত্তি দিয়ে জোর করে নেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত, একজন পাইভেটকার রাখার জন্য গ্যারেজ বানিয়ে জোর করে আমার সম্পত্তি দিয়ে রাস্তা সম্প্রসারন করেন। সেও তার সুবিধার জন্য এখন মসজিদকে ব্যবহার করছে।

আমি রাস্তা দিব, তবে নিয়ম অনুযায়ী দুই দিক দিয়েই রাস্তাটি নেওয়া প্রয়োজন। আমি পথচারী ও মুসল্লীদের যাতায়েতে প্রতিবন্ধকতা করতে চাইনা। সঠিক ভাবে রাস্তা নেওয়া হোক, এটাই আমি চাই।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, খন্দকার বাড়ির এছহাকিয়া জামে মসজিদের রাস্তার মাটি কেটে পেলে দেওয়া হয়েছে, আমি শুনেছি, এলাকাবাসী আমার কাছে তারা অভিযোগ দায়ের করেছে, আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য তারিখ দিয়েছি।

সম্পর্কিত খবর