দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে সবজির বাজার : মতলবে সস্তা শাপলা এখন গরীবের ভরসা

ফারুক হোসেন: চড়া সবজির বাজারে দিশেহারা মানুষ। দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকায় সস্তার মধ্যে ফেলনা শাপলা এখন মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর ভরসা।

দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি কারনে গ্রামঅঞ্চলের মানুষ পুষ্টিকর সবজি খাবার হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে । এদিকে বর্ষা মৌসুমে শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন দরিদ্র অসহায় পরিবারেরা ।

চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে শাপলা বিক্রিতা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে শতশত অসহায় পরিবার সংসার চালাচ্ছেন। বাজারে বিভিন্ন সবজি চড়া দাম হওয়ায় মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো শাপলা দাম সস্তা হওয়ায় এ চাহিদা এখন বেশি।

উপজেলার ছেংগারচর,কালিপুর, সটাকি, গজরা, সুজাতপুর, পাঠানবাজার, দুর্গাপুর, বাগানবাড়িসহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে শাপলা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি আটিতে ১০টি শাপলা। যার পাইকারী বাজার মূল্য ৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৫ টাকা। সুযোগ বুঝে অসহায় শাপলা ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন সুবিধাবাদী পাইকাররা।

ছেংগারচর বাজারে শাপলা বিক্রেতা ষাটোর্ধ নারী হেলনা বেগম জানান, ১০ বছর আগে মারা গেছেন তার স্বামী। দুই ছেলে থাকলেও সবাই আলাদা থাকায় তার সংসারে তিনি এখন একা। নিজের জিবন বাঁচার জন্য প্রতিদিন বিকালে বিভিন্ন স্হান থেকে শাপলা সগ্রহ করে সকালে এ বাজারে বিক্রি করি। এছাড়ও শুষ্ক মৌসুমে বিভিন্নস্থান থেকে হরক রকমের শাক, কচুর লতি ও ছড়া সংগ্রহ করে হাট বাজারে বিক্রয় করে কোন রকমে তাদের সংসার চলছে

আরেক শাপলা বিক্রেতা নজরুল বলেন বর্ষা মৌসুমে বিলে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন এদের মতো অনেক অসহায় নারী ও পুরুষ । বর্তমানে শত শত অসহায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এখন শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান জানান, শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। এর পাশাপাশি এক অংশ আমরা খেয়ে থাকি। এটা পুষ্টিকর একটা খাবার। আর এ শাপলা বিক্রি করে অসহায় পরিবারগুলো তাদের সংসার চালাচ্ছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। তারা দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন।

সম্পর্কিত খবর