ওসি আবদুর রশিদের কর্মদক্ষতায় বদলে যাচ্ছে হাজীগঞ্জ থানার চিত্র

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনগনের সেবায় দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সততা, উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা, কর্মনিষ্ঠা, নির্ভীক, যে কোন শ্রেণীর মানুষের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ এবং অসহায় মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে মুগ্ধ করেছেন ।

এমন বিভিন্ন কৃতিত্বের অধিকারী একজন আলোকিত মানুষ, যিনি মানুষ ও সমাজের জন্য নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন। সাদা মনের আলোকিত মানুষটি হলেন, আর কেউ নয়, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ। তিনি গত ২৭ জুন থেকে এই থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রশাসনের মানুষ হয়েও নিরহংকারী এই মানুষটির, সব শ্রেণির মানুষকে আপন করে নেয়ার গুণ রয়েছে তাঁর মধ্যে। তিনি সকলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন খোলা মনে। একজন সফল পুলিশ অফিসার হিসেবে ইতিমধ্যেই হাজীগঞ্জ থানার প্রতিটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এবং যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সুন্দর ও ভাল মনের মানুষ হলে জীবনের সকল পর্যায়ে ভাল কাজ করা সম্ভব এ বিষয়টির অন্যতম নিদর্শন মুহাম্মদ আবদুর রশিদ। তিনি সততা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন সর্ব সাধারণের কাছে। পুলিশের প্রতি অনেকের বিরুপ ধারনা থাকলেও আবদুর রশিদের মতো একজন সৎ অফিসারের জন্য পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকটা উজ্জল হচ্ছে।

ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ যোগদানের পর বদলে গেছে হাজীগঞ্জ থানার চিত্র। উন্নতি হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির। সম্প্রতি থানায় কমতে শুরু করেছে মিথ্যা মামলা রুজুর সংখ্যা।নিয়মিত অভিযানে বেড়েছে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের সংখ্যা। পুলিশের কঠোর নজরদারিতে কমেছে উপজেলায় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও দস্যুতার মতো ঘটনা। এছাড়াও বর্তমানে হাজীগঞ্জ থানা দালাল মুক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা আইনি সেবা পেতে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। থানা মানেই টাকা। টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না। এমন ধারণা জনসাধারণের। তবে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ।
এ থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন।

তিনি থানায় যোগদানের পর থেকেই কমে গেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়াই নির্দ্বিধায় থানায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন। জিডি করতেও এখন আর টাকা লাগছে না থানায়। নারী-পুরুষ সবাই অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করছেন ওসির রুমে। ইতোমধ্যে কর্মদক্ষ ওসি হিসাবে প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে। তার মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব।

ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকে মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা আমি সজাগ আছি। একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধীকে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো করার সুযোগ দেয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।

তিনি আরও বলেন আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন চাঁদপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় নিজ কর্মস্থলে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় হাজীগঞ্জকে মাদক মুক্ত, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধসহ মডেল হিসেবে উপহার দিতে চাই। স্থানীয় এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, সকল রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ, সুশিল সমাজ, শিক্ষক, ঈমাম, পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য: অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ মাদক উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিলসহ মোট ১৮ টি  ক্যাটাগরীর মধ্যে ১৪ টির সফলতায় ৯ম বার চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হয়েছেন। তিনি একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও বিচক্ষণ অফিসার। কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের কারণে তিনি সকলের নিকট প্রশংসিত। তিনি ইতোমধ্যে চাঁদপুরের পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি, হাজিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে সৎ ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এ থানায় কর্মকালীন সময়ে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর