ফরিদগঞ্জ গোবিন্দপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূ তাসলিমা’কে হত্যা !

স্টাফ রিপোর্টার : যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূ তাসলিমা’কে হত্যার ঘটনায় স্বামী, শশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে চাঁদপুর কোর্টে মামলা।

গত ১০’শে জুন শনিবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দপুরের পশ্চিম লাড়ুয়ায় গৃহবধূ তাসলিমা মৃত্যু,পরিবারের দাবী যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী ও তাহার পরিবার কতৃক হত্যা।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রারামের সৈয়দ আহাম্মেদ বেপারীর ছেলে রনি বেপারীর সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়।
উত্তর আলগী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কমলাপুর গ্রামের দিনমজুর মোঃ খোকন শেখ এর মেয়ে তাসলিমা বেগমের সাথে।

দীর্ঘদিন যাবৎ তাসলিমা বেগম কে স্বামী ও শশুর শাশুড়ী সহ যৌতুকের জন্যে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে।যৌতুক না পেয়ে তাসলিমা কে নির্যাতন করায় অত্র এলাকার স্থানীয় মেম্বার মিজান আখন ও উপজেলা যুবলীগ নেতা হাফেজ ছৈয়াল বলেন,যৌতুকের জন্যে তাসলিমা কে রনি ও তাহার পরিবার নির্যান করতো এবং আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত রয়েছি।

দিনমজুর গরীব পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় বিবাহিত জীবনে মিলেনি সুখের ছোঁয়া,পিতার আর্থিক সংকট,স্বামী যৌতুক নিয়ে প্রতিয়ত মারধ করে তবুও সকল কষ্ট সহজ্য করে স্বামীর বাড়িতেই থাকার আশায় ছিলো তাসলিমার জীবনের ব্যর্থতা।

অবশেষে যৌতুকে টাকা না পেয়ে স্বামী রনি বেপারী ও তাহার পরিবার স্থলেই মৃত্যু বরণ করে তাসলিমা।দরিদ্র পরিবারের তাসলিমার জীবন কেড়ে নেওয়ার পর,নাটকীয়তায় স্বামীর পরিবার তাসলিমার মৃত্যু কে আত্নহত্যা বলে চালানোর প্রকৃয়া করে এবং নাটক সাজায় এমনটাই বললেন তাসলিমার পিতা খোকন শেখ।

অবশেষে গত ১০/৬/২০২৩ তারিখে যুবলীগ নেতা হাফেজ ছৈয়াল এর মাধ্যমে ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার্স এর নেতৃত্বে তাসলিমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়।ময়নাতদন্ত শেষে তাসলিমার লাশ তাহার পরিবারের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

এই বিষয়ে মৃত তাসলিমার পিতা খোকন শেখ বলেন,ফরিদগঞ্জ থানাতে আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে উপস্থিত হইলে আমাকে ফরিদগঞ্জ থায়া কোন মামলা নেয়নি অবশেষে খোকন শেখ বাদি হয়ে চাঁদপুর জর্জ কোর্টে স্বামী, শশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সম্পর্কিত খবর