আলাউদ্দিন কাজী পতিত জমিতে খামার করে এখন সফল

শওকত আলী: চাঁদপুরের সফল খামারি আলাউদ্দিনের স্বপ্ন পূরন হয়েছে। সে চাঁদপুরে পারিবারিক পতিত জমিতে গরু,মুরগী হাঁস ও মাছের খামার করে আলাউদ্দিন কাজী এখন সফল খামারি হয়ে চাঁদপুরবাসীর কাছে প্রশংসার দাবীদার হয়েছেন এবং প্রশংসায় ভাসছে।

আলাউদ্দিন কাজী বিদেশযাত্রায় ভালো না করলেও স্বল্প পুঁজিতে এলাকায় নিজেদের পারিবারিক পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে এখন সফল খামারি হিসেবে সাফল্য অর্জন করেন ।

চাঁদপুর জেলা সদরের বালিয়ার ৩নং ওয়ার্ডে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘মায়ের দোয়া বহুমুখী ফার্ম নামের একটি বিশাল ফার্ম,যা’দেখে এলাকার সকল মানুষের মনে ভরে ও ঝুড়িয়ে যায়। সকলের মূখে একই কথা আলাউদ্দিন বিদেশ যেয়ে যা’ করতে পারেনি তার চেয়ে ভাল করেছে,এ ফার্ম দিয়ে। সেখানে তিনি একই সাথে মাছ চাষ, মুরগী পালন, গবাদি পশু পালন ও ঘাষ চাষসহ বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ করে যাচ্ছেন।

সরেজমিন চাঁদপুর শহরতলীর বালিয়া বাজার এলাকায় গিয়ে ‘মায়ের দোয়া বহুমুখী ফার্মটি ঘুরে দেখা গেল এক অপরুপ দৃশ্যের এমন বিশাল ফার্মটি। চাঁদপুর সদরের বালিয়ার ‘মায়ের দোয়া বহুমুখী ফার্ম’ এর পরিচালক আলাউদ্দিন কাজী জানান, প্রায় ৫ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা এ খামারে আমিসহ ১৫ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

এই খামারের দেশীয় গরুকে এখানকার উৎপাদিত নেপিয়ার ঘাস ও জাম্বুল জার্মান ঘাস খাওয়ানো হয়। আর এর মাধ্যমে গরুগুলো থেকে গড়ে প্রতিদিন আড়াই’শ লিটার দুধ পাওয়া যায়। যা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় ও আশপাশের বাজারে বিক্রি করি। এবার কোরবানিতে এই খামার থেকে ১৫টি গরু ৩০ লাখ টাকা মূল্যে বিক্রির টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ফার্মে ৩টি খামারে রয়েছে ১৫ হাজার সোনালী মুরগী। পাশে কলা বাগানসহ সবজি উৎপাদনের বাগান রয়েছে। আর খামারের মুরগী ও গরুর বর্জ্যকে মাছ চাষের খাবারের কাজে লাগানো হয়। এই পুকুরে রুই কাতলা,মৃগেলসহ কয়েক লাখ টাকার মাছ আছে। শুধু তাই নয়, খামারের গরুর গোবর থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করে আমার হোটেলের জ্বালানী চাহিদাও মিটানো হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চাঁদপুর শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো: আরশাদুজ্জামান খান বলেন, এই ধরনের খামারিদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে আমাদের কৃষি ব্যাংক। শস্য, মৎস্য এবং প্রাণী এই ৩ সেক্টরে কৃষকদের সহজ শর্তে স্বল্পসুদে আমরা লোন দিয়ে থাকি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কিছু প্যাকেজের আওতায় আমরা এখনো কৃষকদের ৪% হারে লোন দিয়ে থাকি। যারা নতুন উদ্যোক্তা হতে চায় বা খামারি রয়েছেন। তাদের ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ থাকবে, আমরা অবশ্যই অর্থ সহায়তামূলক ঋণ দিয়ে যাচ্ছি। তবে খামারিদেরকেও তাদের বিনিয়োগের একটা অর্থের লভ্যাংশ দেখাতে হবে।

আমরা খামারিদের হয়রানি ছাড়া সহজে ঋণ দিতেই কাজ করে যাচ্ছি । আমাদের লক্ষ্য এ দেশের যুবকরা বেকার না থেকে তাদের সময় কাজে লাগাতে আমাদের স্বপ্ল সুদের যে প্যাকেজ আছে তা’নিয়ে তারা কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বি হোক এবং তাদের বেকারত্ব দুর করে সফল ভাবে বেচেঁ জীবিকা অর্জন করুক।

সম্পর্কিত খবর