অফিসে প্রকাশ্যে ধুমপান করছেন হাজীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : সামনে ল্যাপটপ। টেবিলে চায়ের কাপ। হাতে জলন্ত সিগারেট। গা-ছাড়া ভাব নিয়ে খুব আয়েশ করেই সিগারেট ফুকছেন সরকারি অফিসে বসে। মাঝে মাঝে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলেন।

আয়েশি ভঙ্গিতে গালবর্তি ধোয়া ছাড়ছেন কক্ষে। এসময় সেবা প্রার্থীদের দেখেও না দেখার ভান করছিলেন। দৃশ্যটির দেখা মিলে খোদ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহীন মিয়ার কক্ষে।

ধুমপান বন্ধে ২০০৫ সালের প্রণিত আইন অনুযায়ী, প্রকাশ্যে ধুমপানের জরিমানা ধরা হয়েছিল ৫০টাকা। কিন্তু পরে ২০১৩ সালে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী এনে জনসমাগমস্থলে ধুমপানের শাস্তির অর্থ ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়। কিন্তু আইন ভাঙায় অভ্যস্ত লোকজনের অবস্থা তাতে বদলায়নি।

প্রকাশ্যে ধুমপান বন্ধে ২০০৫ সালের আইনের বিধান কার্যকর করার উদ্দেশ্যে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে কোনও পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে প্রবেশ করে পরিদর্শন করিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা তার সমমানের বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনও কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপালনের জন্য কোন আইনের অধীন, বা সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনও বা সব কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু তাঁরা কতটুকু দায়িত্ব পালন করছেন? যেখানে খোদ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিসেই চলছে প্রকাশ্যে ধুমপান।

এদিকে কার্যালয়ে বসে সরকারি আইন ভেঙ্গে প্রকাশ্যে ধুমপান করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহীন মিয়া বলেন, এগুলো কোন বিষয় না। তার ভাষায় ”তিনি কাউকে গায়ে মাখেন না। ডেম কেয়ারে চলাফেরা করেন তিনি”। এমন কি সরকারি নিয়ম কানুন মানতেও রাজি নন এই কর্মকর্তা।

ধুমপানের এমন একটি দৃশ্য নিজ ফেসবুক আইডি “Shahin Mia” টাইমলাইনে পোস্ট করে লিখেছেন “ছবিটা সুন্দর হয়েছে, ক্রেডিট : সাংবাদিক”। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে অফিসে সিন্ডিকেট তৈরি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

 

সম্পর্কিত খবর