চাঁদপুরে বিক্রির জন্য রাজা বাবু’র দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের গ্রিন বাংলা ডেইরি ফার্মে ৩ বছর বয়সী ক্রস জাতের ষাড় গরুর ওজন হয়েছে ১ হাজার ১০০ কেজি।

আসন্ন ঈদুল আযহার কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এই ষাড়। খামারের মালিক এটির দাম হাকছেন ১৫ লাখ টাকা। তবে যারা কিনতে আগ্রহী তাদের দরদাম করার সুযোগ থাকবে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে খামারে গিয়ে রাজুবাবুকে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখগেল। খামারের মালিক পারভীন ইসলাম কাছে গিয়ে বললেন-রাজাবাবু দাঁড়াও। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রাজাবাবু দাঁড়িয়ে গেলো। তিনি যাই বলেন-পোষা অন্য প্রাণিদের মত ষাড়টি তার কথা অনুসরণ এবং মান্য করেন। বিশাল দেহের এই ষাড়টির সামনের অংশ খুবই চড়া।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন ইসলাম। তিনি চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শখ করে নিজস্ব জায়গায় গড়ে তুলেছেন এই গ্রিন বাংলা ডেইরি ফার্ম নামে প্রতিষ্ঠান। প্রথমে লালন পালন করেছেন ২০টি বিদেশী জাতের মুরগী। এরপর নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৭ সালে দুটি দুগ্ধ গাভী লালন পালন শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে গবাদী পশুর সংখ্যা। এখন বড় ধরণের একটি খামারে পরিণত হয়েছে। খামারে দুগ্ধ গাভী, ষাড়, ছাগল ও বেড়া আছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ষাড় আছে কোরবানির জন্য বিক্রি করবেন। সেগুলো সাইজে একটু ছোট। বেড়া বিক্রি করা শুরু হয়েছে ১০-১৫ হাজার টাকা দরে।

পারভীন ইসলাম বলেন, মূলত আমার খামারটি একটি আদর্শ খামার। আমি খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি। নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাস, খড় ও খইল ও ভূষি খাওয়ানো হয় রাজা বাবুসহ অন্যান্য গবাদী পশুগুলোকে। বর্তমানে দুগ্ধ গাভী, ষাড় ও বাচুরসহ ৬৬টি গরু আছে খামারে। এগুলো লালন পালন করার জন্য ৭জন শ্রমিক কাজ করেন।

তিনি বলেন, আমার খামারেই ক্রস জাতের ফ্রিজিয়ান গাভী রাজাবাবুকে জন্ম দেয়। এখানে এটি তিন বছরের কিছু অধিক সময়ে বড় হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন এসে এটি মেপে আমাকে জানালেন ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি। আমি কোরবানি দেয়ার জন্য যারা আগ্রহী তাদের কাছে দাম চেয়েছি ১৫ লাখ টাকা। ক্রেতার পছন্দ হলে দাম কিছুটা কম বেশী হতে পারে।

ষাড়টির ওজন সম্পর্কে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মুকবুল হোসেন বলেন, আমাদের কার্যালয়ের লোকজন গত কয়েকদনি আগে এটি মেপেছেন। এটির ওজন হয়েছে ১ হাজার ১০০ কেজি।

চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. বখতিয়ার উদ্দিন জানান, পারভীন ইসলামের খামারটি একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। খুবই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। জেলায় ব্যাক্তি উদ্যোগে অনেক খামার গড়ে উঠেছে। এবছর কোরবানির জন্য জেলায় চাহিদা ৭০হাজার গবাদি পশু। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। বাকী চাহিদা অন্য জেলা থেকে আমদানি হলে মিটবে।

সম্পর্কিত খবর