হাজীগঞ্জে নববধুকে নিয়ে দুই প্রবাসীর টানাটানি !

গাজী মহিনউদ্দিন : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নববধু নিয়ে দুই প্রবাসীর টানাটানি চলছে। বিয়ের ৫দিন পর স্বামীকে রেখে নববধু পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রেমিকসহ আটক হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

১৩ জুন মঙ্গলবার দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারে প্রবাসী স্বামীর সাথে মার্কেট করতে প্রেমিকের হাত ধরে পালানোর চেষ্টা করে নববধু।

এসময় স্বামীর পাতানো কৌশলে প্রেমিক মোশারফসহ নববধুকে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে সিএনজিতে করে শাহরাস্তির ওয়ারুক রাড়া বাজারে আসে। সেখান থেকে নববধুর নানার বাড়ির লোকজন প্রেমিক মোশারফকে নিয়ে হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের গঙ্গানগর মির্জা বাড়িতে ভবনের দ্বোতলা বন্ধী করে রাখে।

আটক হওয়া প্রেমিক প্রবাসী মোশারফ হোসেন শাহরাস্তি পৌরসভার পশ্চিম উপলতা গ্রামের বেপারি বাড়ির ব্যবসায়ী ফজলুল হকের ছেলে ।

নববধু নাছরিন আক্তার প্রবাসী মোশারফ হোসেনের সাথে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। প্রবাসে যাওয়ার আগে থেকেই মোশারফ এবং নাছরিনের প্রেম কঠিন রূপ নেয়।

৮ জুন বৃহস্পতিবার মির্জা বাড়ির আব্দুর জব্বার মির্জার মেয়ে সেলিনা আক্তারের কন্যা নাছরিন আক্তারের সাথে শাহরাস্তি উপজেলার বলশীদ হাজী বাড়ির প্রবাসী এমরান হোসেনের বিয়ে হয় পারিবারিক সমঝোতায় ধুমধাম আয়োজনে বিয়ে হয়।

কিন্তু সে তার প্রেমিক মোশারফ হোসেনের কথা কাউকে বলেনি। বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে নতুন বরকে নিয়ে নানার বাড়িতে ফিরতি আসে। সেখান নতুন জামাইকে তার প্রেমের কথা জানায়।

এদিকে স্বামী রেখে নববধু নাছরিন প্রেমিক মোশারফের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। ১৩ জুন মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ বাজারে মার্কেট করতে এসে স্বামীর সামনে নববধু নাছরিন প্রেমিক মোশারফকে ফোনে ডেকে আনে। এসময় স্বামীকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্বামী এমরান কৌশলে নববধু ও তার প্রেমিককে মিলিয়ে দেওয়ার কথা বলেন, ওয়ারুকের রাড়া বাজারে আসলে লোকজন প্রেমিক মোশারফ ও নববধুকে আটক করে।

এ দিকে নববধুকে ফিরে পেতে দুই প্রবাসী টানাটানি করতে শুরু করে। তবে প্রেমিকের সাথে ঘর বাঁধার দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে নববধু।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা জলিলুর রহমান দুলাল মির্জার বিষয়টি সমাধানে নববধুর সামনে স্বামী এবং প্রেমিককে হাজির করেন। এসময় নববধু তার প্রেমিকের সাথে সংসার বাঁধার কথা জানান। এ দিকে নববধুকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে দাবি জানায় প্রেমিক।

কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের মৃত লিটনের মেয়ে নাছরিন আক্তার। পিতা না থাকায় মামাদের সহযোগিতায় বিয়ের আয়োজন করা হয়।

নববধু নাছরিন আক্তারের এমন কান্ডে বিব্রত হয়ে পড়ে নতুন বর ও নানার বাড়ির লোকজন।

তবে নতুন বর এমরান হোসেনকে নিয়ে নববধুর নাছরিন আক্তারের এমন কর্মকান্ডে বিয়ের সম্পূর্ন খরচ জমিানা ধার্য করে প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করে আনে উপস্থিত আত্মীয়স্বজনরা। এ দিকে প্রবাসী মোশাফরকে ছাড়িয়ে নিতে শাহরাস্তি পৌরসভার পশ্চিম উপলতা গ্রাম থেকে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে বাবা ফজলুল হক, মা, ভাই ও বোন। এসময় তারা মোশারফকে উপস্থিত মজলিশের সামনে জুতা পেটা করতে দেখা গেছে।

নববধু নাছরিন আক্তার বলেন, আমি ৭ বছর প্রেম করেছি তাই মোশারফকে বিয়ে করবো। পারিবারিক কারণে এমরানকে বিয়ে করেছি। আমি প্রেমের বিষয়টি জানাতে পারিনি যার কারণে পরিবার আমাকে বিয়ে দিয়েছি। এখন আমি মোশারফকে বিয়ে করতে চাই।

প্রেমিক মোশারফ বলেন, নাছরিনের সাথে দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম চলে। আমি প্রবাস থেকে এসে তাকে বিয়ে করার কথা ছিল। সে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করে। আমার সাথে যোগাযোগ করা হলে আমি দেখা করতে হাজীগঞ্জ বাজার আসি। সেখান থেকে আমাকে এখানে আসার জন্য বলেছে তাই আমি এসেছি।

নতুন বর এমরান হোসেন বলেন, আমার সাথে নাছরিনের বিয়ে হয়েছে। আমি তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাই। আমার বৌ আমাকে দিতে হবে। যার

 

সম্পর্কিত খবর