চাঁদপুরে কৈশোর কালীন পুষ্টি বিষয়ক অবহিতকরণ সভা

চাঁদপুর খবর রির্পোট : প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেছেন, পুষ্টি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, পারিপার্শিক অনেক কিছু শিক্ষকরা বাচ্চাদের শিখিয়ে থাকেন। শিক্ষকরা অনেক কাজের কাজী। আমরা সরকারের সকল কাজের অংশিদার।

সরকার কি চায় তা আমরা সবসময় করার চেষ্টা করি। তা উন্নয়ন বলেন, আর শিক্ষা বলেন। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। শিক্ষকরা তা নিশ্চিতে কাজ করছেন।

মঙ্গলবার (১৩ জুন )সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে কৈশোর কালীন পুষ্টি বিষয়ক অবহিতকরণ সভার আয়োজন করেছে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে।

তিনি বলেন, মান সম্মত শিক্ষাকে যদি আমরা এগিয়ে দিতে পারি, তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ দ্রুত বিনির্মান হবে। তাই শিক্ষকরা অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। আগে শিক্ষদের কাজ ছিল শুধু বিদ্যালয়ে এসে পাঠদান করানো।

আর এখন আমরা পাঠদানের পাশাপাশি ক্ষুদে চিকিৎসক তৈরি, কাব স্কাউটসহ বিভিন্ন কাজ করছি। আমাদের মধ্যে অনেক জট পড়ে আছে, তা খোলার জন্য আমরা কাজ করছি। প্রতিটি বিদ্যালয়ের জায়গা আপনারা খালি রাখবেন না। প্রয়োজনে একটি হলেও গাছ লাগাবেন, তা হউক ফলজ বা বনজ। আগে বিদ্যালয় ছিল টিন সেড। আর এখন বিদ্যালয়গুলো বহুতল ভবন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়াসব্লকও করা হয়েছে।

ঢাকা মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টিসেবার বাস্তবায়নে সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অবহিতকরণ সভায় অংশ নেন।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন কার্যালয় মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টিসেবার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ নন্দলাল সূত্রধর , জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ প্রমুখ।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১ থেকে ১০ বছর বয়স হলো কৈশোর কাল। আমাদের সন্তানদের কে পুষ্টি সম্মত খাবার খেতে দিতে হবে।আমরা আজকে যে চিন্তা করছি তা জাতি পিতা ১৯৭২ সালে চিন্তা করে জাতীয় পুষ্টি সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এখন থেকে কিশোর কিশোরীদের কে ফাস্ট ফুট জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। সাধারন খাবারের পাশাপাশি সবুজ ফলমুল তাদেরকে খাওয়াতে হবে, তবেই তারা পুষ্টির ঘাড়তি থেকে বাঁচতে পারবে।

সম্পর্কিত খবর