কচুয়ায় নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি জমির বালু বিক্রির অভিযোগ

কচুয়া প্রতিনিধিঃ কচুয়া উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের বড়দৈল গ্ৰামসহ একাধিক স্থানে ফসলি জমি থেকে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বড়দৈল গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত ২০ মে অভিযোগটি দিলেও ১১ জুন রবিবার পর্যন্ত বালু বিক্রি বন্ধ হয়নি।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বড়দৈল গ্রামের আবুল খায়ের ও আবু হানিফ ফসলি জমি থেকে ওই গ্রামের সোলাইমানের ড্রেজার মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে। ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে অতিরিক্ত খনন করে মাটি কাটার ফলে পার্শ্ববর্তী ৩ মৌসুমী ফসলি জমিগুলো ভাঙ্গনের হুমকি মুখে পড়েছে।

মজিবুর রহমান অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী সোলাইমান ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমরা কয়েক দফায় বাধা দেয়ার পরও তারা নিয়মিতভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে এবং আমাদেরকে নানারকম হুমকি দিয়ে আসছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, এভাবে চলতে থাকলে এলাকার নির্মাণাধীন ঘরবাড়িও ধসে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি ড্রেজার সরিয়ে এই গ্রামের কৃষকদের তাদের ফসলি জমিতে আবাদের সুযোগ করে দেয়া হোক।

এদিকে কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের বজুরিখোলা ,মঙ্গল মুড়া, শুয়ারুল ক্ষীরায় নদী খালের উপর এবং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আশারকোটা, শংকরপুর, সফিবাদ ও দোয়াটি এলাকায় আবাদি জমি নষ্ট করে দীর্ঘদিন ধরে বালু বিক্রি করে আসছেন ভূমিদস্যু বালু ব্যবসায়ীরা।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, নিজের কিংবা পরের জমির মাটি বিক্রি করার কোনো নিয়ম নেই। অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ব্যবস্থা নেবো।

সম্পর্কিত খবর