স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকায় গোয়াল ঘরের পাশে বাজারের ব্যাগে মিলল এক নবজাতক।
শুক্রবার (২ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকার পুলিশ সুপারের বাসভবন সংলগ্ন ঢালী বাড়ীর খোকন ঢালীর গোয়াল ঘরের পাশে নবজাককে জীবত অবস্থায় পাওয়া যায়।
রাতে নিজাম ঢালী তার গোয়াল ঘরে গরুকে ঘাস দিতে গিয়ে ওই নবজাতকের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে তাকে রক্তাক্ত ও জীবত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তারপর তারা নবজাতকের শরীরের রক্ত পরিস্কার পরিছন্ন করে রাতেই প্রাইভেট চেম্বারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আজিজুর রহামনকে দেখিয়ে চিকিৎসাসেবা নেন।
কে বা কারা রাতের আঁধারে ওই ছেলে নবজাতকে মুখে গামছা পেঁছিয়ে, বাজারের ব্যাগে ঢুকিয়ে গোয়াল ঘর এবং গোসল খানার পাশে ফেলে রাখেন স্থানীয় কেউ বলতে পারছেন না।
শনিবার (৩ জুন) সকালে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন ওই নবজাতকে তাদের বাড়ি থেকে এনে নিজামের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সখিনা বেগমের তত্বাবধানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানেওই নবজাতক পুলিশ হেফাজতে সখিনা বেগমের তত্বাবধানে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নবজাতকের সেবার দায়িত্বে নিয়োজিত হানিফ ঢালীর স্ত্রী সখিনা বেগম জানান, শুক্রবার রাতে আমার ভাসুর গোয়াল ঘরে তার গরুকে ঘাস দিতে গিয়ে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখেন একটি বাজারের ব্যাগের মধ্যে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তারপর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছি এবং আমি আমারও একটি শিশু সন্তান রয়েছে তার সাথে এই নবজাতকেও বুকের দুধ পান করিয়েছি।
নবজাতকে পাওয়া নিজাম ঢালী ওরফে খোকন জানান, তাদের বাড়ির পাশে তিনি একটি নতুন বাড়ি করেছেন। সেখানে তেমন কোন লোকজনের যাওয়া আসা নেই। নবজাতককে সেখান থেকে উদ্ধার করে তার বৃদ্ধ মা এবং ছোট ভাই হানিফ ঢালীর স্ত্রী সখিনা বেগমের সহযোগিতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ডাক্তার দেখি বাড়িতে নিয়ে যান। সকালে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ তাদের বাড়ি থেকে ওই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন জানান, ওসির নির্দেশে আমি খবর পেয়ে সকালে তাদের বাড়ি থেকে নবজাতক শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। বর্তমানে সে সখিনা বেগমের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
