হাজীগঞ্জে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা : থানায় অভিযোগ

হাবিবুর রহমান /গাজী মহিউদ্দিন : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তি দিতে দেরি হওয়ায় এনজিওর কর্মীদের অপমানের পর কোহিনুর বেগম নামের এক নারী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর অবস্থায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ড এ চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী দেলোয়ার হোসেন এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গতকাল ৩১ মে উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, ৮ মাস আগে কোহিনুর বেগম ‘প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিওর হাজীগঞ্জ সদর কার্যালয় থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। এরপর তিনি প্রতি মাসে ১৯ হাজার হারে ঋণের ৭ কিস্তিতে ১ লক্ষ ৪৩হাজার টাকা পরিশোধ করেন।

গত ৩১ মে কোহিনুর বেগমের সপ্তম কিস্তির শেষ দিন ছিলো। সাংসারিক অভাব-অনটনে কিস্তির ১৯ হাজার টাকার মধ্যে কিছু টাকা কম থাকায় সপ্তম কিস্তির টাকা দিতে গড়িমসি করেন কোহিনুর বেগম।

কিন্তু ‘প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ শাখা ব্যবস্থাপক ও অন্যান্য কর্মীদের উপস্থিতে কর্মী দিদার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে কোহিনুর বেগমকে গালমন্দ ও অপমান অপদস্ত করতে থাকে এবং কোহিনুর বেগমের গায়ে হাত দেয় বলে জানান কোহিনুর বেগমের স্বামী দেলোয়ার হোসেন। তিনি আরো বলেন, এমন কি এনজিও কর্মীরা বলছে কিস্তির টাকা দিতে না পারলে তুমি মরে যাও তোমার টাকা মাপ করে দেওয়া হবে।

এর কিছুক্ষন পরেই কোহিনুর বেগমের স্বামী দেলোয়ার হোসেন পার্শবর্তী একজন থেকে ধার করে কিস্তির ১৯ হাজার টাকা এনজিও কর্মী দিদার হোসেনের হাতে তুলে দেন। এদিকে অপমান অপদস্ত সহ্য করতে না ফেরে ইনজিও কর্মীদের সামনেই বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এবং স্বামী বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানা গেছে।

তবে অভিযোগটি পুরোপুরি সত্য নয় দাবি করে ‘প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ হাজীগঞ্জ শাখার ম্যানেজার বলেন, ‘ওই নারী ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁর টাকা পরিশোধ করছেন নিয়মিত, তবে সঠিক সময়ে থেকে দিতে কিছুটা দেরী হয়। ঐদিন কিস্তির টাকার জন্য তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয় এবং তাকে ছাপ দেয়া হয়েছে।কিন্তু তাঁকে অপমান করা হয়নি। মূলত ওনার স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক সমস্যার কারণে আমাদের সম্মুখে একটি বোতল হাতে নিয়ে পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

থানার অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

সম্পর্কিত খবর