পুরানবাজারে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু : ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার পূর্ব শ্রীরামদী এলাকায় প্রেম করে বিয়ে করার করুন পরিনতি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর সাথে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। অবশেষে বাড়ির ছাদের উপর স্বামী সুফিয়ান গাজীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় জন্ম ধারিনী মা।

হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করার পর ময়নাতদন্তুর জন্য লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বুধবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে সেই যুবকের শেষ ঠিকানা হয় কবরে।

প্রিয় দর্শক বলছিলাম চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার পূর্ব শ্রীরামদী এলাকায় আবু সুফিয়ান গাজী (২৪) নামের এক যুবক গলায় ওড়না প্যাচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।দাসপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মৃত হাসেম গাজীর ছেলে সুফিয়ান গাজীর কথা।

এক বছর পূর্বে প্রেম করে ৪ নং ওয়ার্ডের বিরালা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুইতি আক্তারের সাথে সুফিয়ান প্রেম করে বিয়ে করে।

বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হতো। অবশেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে সুফিয়ানের ঝুলন্ত লাশ বাড়ির ছাদে দেখতে পেয়ে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি নেওয়ার জন্য তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন চেষ্টা করে। পরে মডেল থানার পুলিশ সুফিয়ানের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তন করে।

সুফিয়ান বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দাসপাড়া এলাকায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত ব্যবসা করে আসছে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সুফিয়ান সবার বড় ।ছেলেকে হারিয়ে হতভাগা মা মমতাজ বেগম লাশের পাশে আহাজারি করতে থাকে।

বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই সংসারের হাল ধরে সুফিয়ান কিন্তু প্রেম করে বিয়ে করাই হলো তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। অবশেষে লাশ হয়ে যেতে হলো কবরে। তবে এই মৃত্যুর ঘটনাটি কি কারণে ঘটেছে তা নিয়ে এলাকায় চলছে গুঞ্জন। প্রকৃত ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে । এই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদকর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ করে সুফিয়ানের শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সুফিয়ান খুব ভালো ছেলে ছিল বিয়ে করার পর থেকেই সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়।

তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার স্ত্রী তাকে মানসিক চাপ দিত। সুফিয়ানের শ্যালক মামুন ও মাসুদ তার সাথে প্রায় সময় দুর্ব্যবহার করত। এই মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তার শ্বশুরবাড়ি লোকজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা কি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাটি সুস্থ তদন্ত করলেই মৃত্যুর মূল ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

সম্পর্কিত খবর