মতলবে পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল করায় পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

গোলাম সারওয়ার সেলিম ঃ মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে সরবরাহকৃত নকল করার দায়ে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (সহকারী কমিশনার ভূমি) তাসনিম আক্তার। গতকাল ২৭ মে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন সময় দুপুর ১২টায় ওমর ফারুক, মশিউর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন নামের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়।

আজ পদার্থ বিজ্ঞান বিষয় পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার গোপন সূত্রে এমন একটি চাঞ্চল্যকর নকলের খবর পান। তিনি দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১নং কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থী মাহবী হাসান মুহিনকে চ্যালেঞ্জ করেন। আর তখনই তার কাছ থেকে একটি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয় এবং পুরো নকলের বিষয়টি বের হয়ে আসে।

এসিল্যান্ড যখন তল্লাশি শুরু করলেন তখন এই পাঁচজনের একজন তার সাথে থাকা মোবাইলটি ময়লার ঝুঁড়িতে ফেলে দেয়। সেটি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুহুল আমিন উদ্ধার করেন। আর বাকি তিনজনের কাছে তল্লাশি করে মোবাইল সেট পাওয়া যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে তল্লাশির সময় তারা কৌশলে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার পর পর তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার জানান, পরীক্ষার শুরু থেকে এই পাঁচজন পরীক্ষার্থী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরো পরীক্ষা নকল করে দিয়ে আসছিল। তাদের পাঁচজনের কাছে স্মার্ট ফোন থাকতো। আর এই পাঁচজনের মধ্যে একটা গ্রুপ ম্যাসেঞ্জার ছিল। বাইরে থেকে তাদেরকে ওই মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে নকল সরবরাহ করা হতো। চারজনের একটা গ্রুপ বাইরে থেকে তাদেরকে নকল সরবরাহ করতো। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান । আরো জানা গেছে, হলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়ার পর পরই এই প্রশ্নের ছবি তুলে তারা বাইরে পাঠিয়ে দিতো। পরে তাদেরকে ম্যাসেঞ্জারে একটা একটা করে উত্তর সরবরাহ করতো। এভাবেই তারা পুরো পরীক্ষা পার করেছে।

বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন মতলবগঞ্জ জগবন্ধু বিশ্বনাথ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এবং অপর এক শিক্ষার্থী মশিউর রহমান তুহিন বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের

কেন্দ্র সচিব ও মতলবগঞ্জ জগবন্ধু বিশ্বনাথ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন, তাও সেটা স্মার্ট ফোন নয়।

সে জায়গায় পাঁচজন পরীক্ষার্থী হলে কীভাবে মোবাইল নিয়ে ঢুকলো সে আমার জানা নেইতবে ধারণা করা হচ্ছে তাদেরকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বাইরে থেকে কোনোভাবে মোবাইল সরবরাহ করা হতো।

সম্পর্কিত খবর