অসহায় আটাশিয়ান পরিবারের পাশে বাংলাদেশ ৮৮ চাঁদপুর জেলা প্যানেল

এক অসহায় হতদরিদ্র আটাশিয়ান পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ‘৮৮ চাঁদপুর জেলা প্যানেল। এই প্যানেলের সদস্য কচুয়ার আমিনুল হক মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী সন্তান অসহায় হয়ে পড়ে। এই পরিবারটিকে স্বাবলম্বী করতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ৮৮ কেন্দ্রীয় প্যানেল এবং চাঁদপুর জেলা প্যানেল।

মৃত আমিনুলের স্ত্রীকে একটি সেলাই মেশিনসহ আরো কিছু উপকরণ দেয়া হয়। শনিবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে চাঁদপুর জেলা প্যানেলের নেতৃবৃন্দ আমিনুলের স্ত্রীর হাতে এসব তুলে দেন।

এসএসসি ১৯৮৮ সালে পাস করা শিক্ষার্থীদের বন্ধু সংগঠন বাংলাদেশ ’৮৮। এই বন্ধু সংগঠনটি শুধু নিজেদের মধ্যে হাসি-আনন্দ, আন্তঃসম্পর্কের উন্নয়ন বা বন্ধুত্বের মেলবন্ধনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে না, অসহায়, অসুস্থ বন্ধুদের পাশেও দাঁড়ায়।

সংগঠনের চ্যারিটি ফোরামের উদ্যোগে এই কার্যক্রমটি হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কচুয়ার আটাশিয়ান বন্ধু মরহুম আমিনুল হকের পরিবারের পাশে যৌথভাবে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ৮৮ কেন্দ্রীয় এবং চাঁদপুর জেলা প্যানেল। যৌথ উদ্যোগে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে মরহুম আমিনুল হকের স্ত্রীকে একটি সেলাই মেশিন, একটি গাভী গরুর বাছুর এবং হাঁস মুরগির জন্য নগদ টাকা দেয়া হয়।

শনিবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে আমিনুলের স্ত্রী রাজিয়া বেগমের হাতে এসব উপকরণ তুলে দেন বাংলাদেশ ৮৮ চাঁদপুর জেলা প্যানেলের উপদেষ্টা হাজী মোশাররফ হোসেন, কো-অর্ডিনেটর এএইচএম আহসান উল্লাহ, সিনিয়র সহকারী কো-অর্ডিনেটর এসএম মুজিবুল হক রাসেল, সহকারী কো-অর্ডিনেটর খলিলুর রহমান পোকন, নার্গিস স্বপ্না, মুক্তা রহমান, লিপি আহমেদ ও ইয়াসমিন পারুসহ আরো কজন বন্ধু।

প্রয়াত বন্ধু আমিনুলের স্ত্রী রাজিয়া বেগম তার স্বামীর বন্ধুদের কাছ থেকে এমন সহযোগিতা পেয়ে খুবই আনন্দ এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তার স্বামীর বন্ধুরা এভাবে এগিয়ে আসায় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে তিনি শুকরিয়া আদায় করেছেন এবং স্বামীর বন্ধুদের জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেছেন।

সম্পর্কিত খবর