প্রফেসর পাড়ায় যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে ১২ পরিবারকে জিম্মি করার চেষ্টা

এইচ এম আরিফ হোসেন: চাঁদপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের প্রফেসর পাড়া মাতব্বর বাড়ি এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে যাতায়াতের রাস্তা অবরোধ করে অন্তত ১২ টি পরিবারকে জিম্মি করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে ।

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে থেকে ইয়াসিন নামে এক জন বাদী হয়ে এ ব্যাপারে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৩৩ ধারার বিধান মতে প্রতিকার চেয়ে একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন। যাহা দঃ মোঃ নং ৬১৯/২৩।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার বাবু দেওয়ান (৪০), পিতা মৃত- বাচ্চু দেওয়ান, আবুল হোসেন (৫৫), মিকু দেওয়ান (৬০), উভয় পিতামৃত- আঃ লতিফ দেওয়ান।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায় চাঁদপুর সদর এলাকাধীন চাঁদপুর মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার সি.এস ১১৮৮নং খতিয়ানে, এস.এ ১৪১২নং খতিয়ানে, বি.এস ৩২৩৯ খতিয়ানে, সি.এস ২২৫ দাগে এস.এ ৯১১ দাগে এবং বি.এস ১০০১ দাগে মোঃ ০৫ একর ভূমিতে দখলকার আছেন ইয়াছিন ও তার প্রতিবেশীগন।

তারা জমির মালিক ও দখলকার হয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দিয়ে পৌর খাজনাদি পরিশোধ করে ঘর দরজা উত্তোলন করে। ১২ টি পরিবারের সকলেই তাদের খরিদা ভূমি হতে অংশ হারে ভূমি ছাড়ে দিয়ে রাস্তা নির্মান করে তাদের নিজস্ব প্রয়োজন সহ জনসাধারনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে। রাস্তাটি দীর্ঘ প্রায় ১২-১৪ বৎসর যাবৎ চলাচলের রাস্তা হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।

কিন্তু হঠাৎ করে বাবু দেওয়ান, আবুল হোসেন, মিকু দেওয়ান বিগত ১৫ মে সোমবার রাতের আধাঁরে উক্ত চলাচলের রাস্তাটি ইট দিয়ে দেয়াল তৈরি করে বন্ধ করে দেয়। এতে করে ১২ টি পরিবারের মানুষ ও স্কুল পড়ুয়া বাচ্চারা বিপাকে পড়ে। ১৬মে মঙ্গলবার সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় বাবু দেওয়ান গংরা হুমকি ধমকি দিয়া বলে যে, ইয়াসিন ও তার প্রতিবেশীদের কখনই এই রাস্তা ব্যবহার করিতে দিবে না। পূর্বেও তারা ৫-৬বার এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল।

১৮মে বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী লাকি বেগম নামে এক জন বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাবু দেওয়ান, আবুল হোসেন, মিকু দেওয়ান কে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হালিম ২০ মে শনিবার ভোররাতে আবুল হোসেন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

২০ মে শনিবার বিকালে সরজমিনে গেলে স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানান বাবু দেওয়ান গংরা এখানের চলাচলের রাস্তা ইট দিয়ে দেওয়াল করে বন্ধ করে দেয়। আর ৪০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়াতে সে এই অত্যাচার করে যাচ্ছে। আমরা স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা সকালে এই দেওয়াল ভেঙ্গে রাস্তা উন্মুক্ত করি। এর কিছুক্ষণ পরে বাবু দেওয়ান এসে কৌশলে রাস্তার পাশে টিনের ঘরে আগুন লাগিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

আমরা সেই আগুন ও সকলে মিলে নিভিয়ে পেলি। বাবু দেওয়ান এখন আর বড় দরনের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমরা সকলে তার বিচার চাই। ১২ টি পরিবারের প্রয়োজনে এই রাস্তাটি সব সময়ের জন্য উন্মুক্ত ও স্থায়ী সমাধান চাই। এদিকে বাবু দেওয়ান কে না পাওয়াতে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত খবর