‘রত্নগর্ভা মাথ পদক পেলেন ফরিদগঞ্জের রওশন আরা

মামুন হোসাইন : একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সন্তানদের যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে ৩৬ নারীকে ‘রত্নগর্ভা মাথ পদক দিলো আজাদ প্রোডাক্টস। এরমধ্যে ১১ নারীকে বিশেষ ক্যাটাগরিতে এবং ২৫ নারীকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে এই পদক দেওয়া হলো।

রোববার (১৪ মে) ২০২৩ খ্রীস্টাব্দে দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে রত্নগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এর আয়োজন করে আজাদ প্রোডাক্টস। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রত্নগর্ভা মায়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সাধারণ ক্যাটাগরিতে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ বড়ালী গ্রামের রওশন আরা এই পদক পেলেন। উল্লেখ্য ফরিদগঞ্জ উপজেলার বড়ালী গ্রামের সাবেক বিডিআর বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সাবেক হিসাব রক্ষক মরহুম মোহাম্মদ আবুল হোসেনের স্ত্রী রওশন আরা।

মিসেস রওশনা আরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের জনাব শরাফাত আলী খাঁ ও বদরুন্নেছা দম্পতির অষ্টম সন্তান, ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি, তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে অদম্যস্পাহা থাকা সত্ত্বেও মেধাবী এই মা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা চলাকালীন সময় ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বড়ালী গ্রামের মোহাম্মদ কলি মিয়াজী ও অজুফা খাতুন দম্পতির ছোট ছেলে বিজিবি এর সাবেক হিসাব রক্ষক মোঃ আবুল হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, কিশোরী এই পুত্রবধূ স্বপ্ন দেখতেন নিজের সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে দেশ ও জাতির জন্য অবদান রাখবেন, সীমিত আয়ের যৌথ সংসারে শশুর শাশুড়ির সবকিছু সামলিয়ে একজন নৈপুূর্ণ পরম মমতায় সন্তানদের বড় করে তুলেছেন তিনি ,এই দম্পতি ন্যায়নিষ্ঠ ও সততার সাথে কখনো আপোষ করেননি তিনি।

রত্নগর্ভা মা রওশন আরা পাঁচ সন্তানের সবাইকে উচ্চশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলেছেন।তার প্রথম সন্তান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,বিএসসি,এমএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্তমানে তিনি বিশ্বের অন্যতম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমাজন লজিসটিকস জার্মানিতে কর্মরত,দ্বিতীয় সন্তান শামসুন্নাহার বিএসসি, এমএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে কঙ্গোতে কর্মরত আছেন।

তৃতীয় সন্তান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বিএসসি, এমএসসি, সাইন্টিফিক প্রজেক্ট ম্যানেজার,ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট জার্মানি ও সিও ওয়াইল্ড মেন্টর। চতুর্থ সন্তান নুরজাহান বেগম,বিএ, এমএ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তিনি উদ্যোক্তা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ ও বিভিন্ন নারী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জড়িত।

পঞ্চম সন্তান ডাক্তার মোঃ জহিরুল ইসলাম, এমবিবিএস,এফসি পিএস, মেডিসিন শেষ পর্ব এমডি কার্ডিয়লজি কোর্স, অ্যাসি¯ট্যান্ট সার্জন মিনিস্ট্রি অফ হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার,বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ঢাকা।

সম্পর্কিত খবর