ওসি আব্দুর রশিদের নির্দেশে হামানকর্দ্দিতে চুরির ঘটনায় তদন্তে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নে হামানকর্দ্দি খান বাড়িতে দিনে শিশুকে ভয় দেখিয়ে চুরির ঘটনায় তদন্তে ১লা মে ঘটনাস্থলে পরিদশন করেন চাঁদপুর মডেল থানার এসআই হেলাল উদ্দিন ।
ঘটনাটি দৈনিক চাঁদপুর খবরে প্রকাশিত হওয়ার পর চাঁদপুর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদের নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান । তদন্তে ঘটনার সত্যতা পান ।

চাঁদপুর মডেল থানার এসআই হেলাল উদ্দিন গতকাল দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, আমি ঘটনাস্থলে পরিদশনে যাই । তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাই । এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে । এই ঘটনায় জড়িতদের মুখোস উম্মোচন করতে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার ও মডেল থানার ওসির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী ।

জানা গেছে,২৯ এপ্রিল বিকাল ৫টায় আছরের নামাজের সময় হামানকর্দ্দির মৃত আব্দুল মান্নান মাষ্টারের ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মৈশাদীর হামানকর্দ্দির খান বাড়ির মফিজুর রহমান খান মুকুলের মেয়ে মাইমুনা খানম (১০) শনিবার ঘরের ভেতরে ছিলেন, ঘরের ভেতরে আগে থেকে খাটের তলে ডুকে থাকে দুজন, তারা মাইমুনা খানমকে ভয় দেখিয়ে ঘরের আলমারির ছাবি, মোবাইল চান, মাইমুনা খানম দিতে না রাজি হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে তার পড়নে থাকা কানের ধূল নিয়ে যায়, তারপর সে স্টেলের আলমারির চাবি ও মোবাইল দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে চকলেট ও চিপস দিয়ে লোভ দেখায়।

হামানকর্দ্দির খান বাড়ির মফিজুর রহমান মুকুলের বসত ঘর বাড়ির সামনে একলা হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটনার সাহস পায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। বর্তমানে মফিজুর রহমান খান মুকুলের শিশু মেয়ে ও তার পরিবার চরম আতংকে রয়েছে। দুর্বৃত্তদের এমন কান্ডে হতবাগ মৈশাদীর সচেতন মহল, এই প্রথম মৈশাদীতে তথা চাঁদপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেন সচেতন মহল জানিয়েছে।

মফিজুর রহমান খান মুকুল জানান, এ ঘটনার সময় বাড়িতে কেউই ছিলনা। বাড়িতে কেউই থাকেনা, শুধু মা আর আমার মেয়ে মাইমুনা খানম বাড়িতে থাকে। এ ঘটনাটি বাড়ির ও আশ পাশের লোক জড়িত থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করার কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে ।

সম্পর্কিত খবর