আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের আয়োজনে বর্ষবরণ

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরে শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার অনন্য প্রতিষ্ঠান আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ এপ্রিল শনিবার চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একেডেমিতে এ আয়োজন করা হয়।

বিকেলে ৩টায় শিশুদের কণ্ঠে সম্মিলক সংগীতের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ আয়োজনের শুভ উদ্বোধন করা হয়। পরে আনন্দধ্বনীর শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি-নৃত্য-গীত অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

সান্ধকালীন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল।

আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ মিন্টুর সঞ্চালনায় দুই পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, শিল্পচুড়ার সভাপতি মাহাবুবুর রহমান সেলিম, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন চাঁদপুর শাখার সভাপতি লায়ন মাহমুদ হাসান খান, জাগরণ সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের সহ-সভাপতি ইসমত আরা সাফি বন্যা, গোপাল সাহা, নাসির খান, কার্যকরি পরিষদের সদস্য ও ভাষ্কর্যশিল্পী আজাদ হোসেন, কার্যকরি সদস্য ও কবি আশিক বিন রহিম।

বক্তারা বলেন, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। আবহমানকাল ধরে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে, আনাচে-কানাচে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপম-ুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পয়লা বৈশাখ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার শক্তি যোগায়, স্বপ্ন দেখায়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের ক্ষমা বণিক ও আবু বকর সিদ্দিক। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন, চয়ন সাহান, নিবেদিতা দাস, মহিমা লোদ, মমতাজ আক্তার ও অনিমা পাল। নৃত্যানুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন, পুতুল দাস।

সম্পর্কিত খবর