ফরিদগঞ্জে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দাখিল পরীক্ষা দিতে পারবে না মুন্নী

মামুন হোসাইনঃ সারা বাংলাদেশ এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা কাল ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু। এই দিকে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ হর্ণি সৈযদ তাহেরীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মুন্নি আক্তার দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

এই বিষয়ে ২৮ এপ্রিল শিক্ষার্থী মুন্নী আক্তার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

শিক্ষার্থী মুন্নী আক্তার জানান আমি দক্ষিণ হর্ণি সৈয়দ তাহেরীয়া দাখিল মাদ্রাসার” ২০২৩ইং সালের একজন দাখিল পরীক্ষার্থী। উক্ত মাদ্রাসা থেকে ২০২১ইং সালে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আমি প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র ও ফি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করি। এবং ২০২৩ইং সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমার কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবত নগদ ৩,০০০/ (তিন হাজার) টাকা গ্রহণ করেন।

আমাকে দিয়ে টেস্ট পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ২৭/০৪/২০১৩ইং তারিখ সকল পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্র বিতরণ করা হলেও আমার প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়নি। আমার প্রবেশ পত্র না পেয়ে আমি পরের দিন ২৮/০৪/২০১৩ ইং অফিসে যোগাযোগ করলে সকাল ১০.০ ঘটিকায় আমাকে জানানো হয় যে, আমার রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি। এ অবস্থায় ২০২৩ইং সালের দাখিল পরীক্ষায় আমি অংশগ্রহণ করতে পারবো না।

এই বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কাদির জানান গত ৫ মাস পুর্বে আমি প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছি,শিক্ষার্থীর কেন রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি আমি জানি না, গত ২৮ এপ্রিল আমি জানতে পারলাম সে পরীক্ষা দিতে পারবে না,তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফরম পুরণ বাবদ ৩ হাজার টাকা জমা দিয়েছে শিক্ষক সফিকুর রহমানের কাছে,সে টাকা জমা দেয়নি,তার কাছে রেখে দিয়েছি,তাকে প্রশ্ন করা হলো, তার নাম রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি তাহলে তাকে টেস্ট পরীক্ষা দেওয়া হলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন আমি একজন সহকারি মৌলবী প্রতিষ্ঠানের সভাপতির এখতিয়ারে আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বানানো হয়েছে। আমি পরীক্ষার ব্যাপারে কোন কিছুই বলতে পারবো না।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যব¯হা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত খবর