চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞার সময় রক্ষা হয়নি পাঙ্গাসের পোনা!

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার মার্চ-এপ্রিল দুই মাস দেশের ৫টি এলাকায় অভয়াশ্রম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত একটি অভয়াশ্রম এলাকা।

দুই মাস ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও কিছু অসাধু জেলে ও মৎস্য শিকারি নিয়ম না মেনে মাছ আহরণ করেছেন। এর মধ্যে অতিমূল্যবান পাঙ্গাসের পোনাগুলো নিধন হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে চাঁদপুর শহরের মাছ বাজার ও পাড়া মহল্লায় বিক্রি করতে দেখাগেছে পাঙ্গাসের পোনা।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চাঁদপুর শহরের যমুনা রোড টিলা বাড়ী এলাকার কিছু লোক আছে যারা বড় বড় ছাই দিয়ে এসব পাঙ্গাসের পোনা ধরেন। তাদেরকে বিগত বছরগুলোতে নজরদারীতে রেখেছিলেন সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি। পাঙ্গাসের পোনা ছাড়া এবং ছোট থেকে বড় হওয়ার সময়টি তিনি জানতেন। ওই সময় তিনি বেশ কয়েকবার অভিযান করে বড় বড় চাই জব্দ করতেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অন্যত্র বদলি হন। এরপর যারা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন, তারা এই বিষয়ে জানেন কিনা, অথবা পাঙ্গাস রক্ষায় প্রদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা এমন কিছুই চোখে পড়েনি।

চাঁদপুরের মৎস্যজীবী নেতা তছলিম বেপারী বলেন, পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী আমাদের অতি মূল্যবান সম্পদ। ছোট প্রজাতির মাছগুলো ধরা সব সময় নিষিদ্ধ। এ বছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষিদ্ধ সময়ে পাঙ্গাসের পোনাগুলো অবাধে ধরে বিক্রি করেছে এক শ্রেনীর জেলে।

বিশেষ করে বেদেরাও বরশি দিয়ে পাঙ্গাস মাছের পোনা ধরেছেন। তারা পাঙ্গাসের পোনা ধরার কারণে তাদের কাছ থেকেও বাহিনীর নাম করে প্রতি নৌকা থেকে ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এটি তাদের বক্তব্য। তবে আমরা চাই নদীর মূল্যবান সম্পদ রক্ষা হউক। বড় হলে একটি পাঙ্গাস মাছ কত দামে বিক্রি হয়, সেটি আমাদের সকলেরই জানা।

সম্পর্কিত খবর