চাঁদপুরে মহিলা কলেজের ছাত্রী কেয়ার রহস্যজনক মৃত্যু !

স্টাফ রিপোর্টার : স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবে কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূর্ণ হল না ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাবা মা ভাই বোন রেখে অভিমান করে না ফেরার দেশে চলে গেল কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার কেয়া।

চাঁদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড রঘুনাথপুর গাজী বাড়িতে নিজ বাড়িতে মহিলা কলেজের ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সকাল বেলায় ভাই-বোনকে ঘরে রেখে মা রোকেয়া বেগম হাঁটতে যায় রাস্তায়। বাসায় এসে দরজা বন্ধ দেখে জানালা দিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। চিৎকার করার সাথে সাথেই দরজা ভেঙে কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু এর পূর্বেই তার করুন মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে চাঁদপুর পুরান বাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রাজীব শর্মা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ছোটবেলা থেকেই খুব গম্ভীর অভিমানী ছিল সুমাইয়া আক্তার কেয়া। তার খুব কাছের পছন্দের মানুষের সাথে অভিমান করে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অনেকে ধারণা করছে অনেকে।

বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ঘরের দরজা আটকে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে কেয়া। মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে মা রোকেয়া বেগম আহাজারি করতে থাকে। কোন অবস্থাতেই মেয়ের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সুমাইয়া আক্তার কেয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত জন্য থানায় নিয়ে আসে।

নিহত কলেজ ছাত্রী কেয়া চাঁদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড রঘুনাথপুর বশরত গাজী বাড়ির সুমন গাজীর মেয়ে। পরিবারের সুখের আশায় বাবা ঢাকায় একটি হোটেলে চাকরি করে ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতেন। কিন্তু বাবার স্বপ্ন নিমিষেই চুরমার হয়ে গেল সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল।অবশেষে মেঝ মেয়ে সুমাইয়া আক্তার কেয়ার ঠাই হলো অন্ধকার কবরে।

এই মৃত্যুর ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করলেই এর কারণ বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করছে সচেতন মহল।

 

সম্পর্কিত খবর