সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনা : ফরিদগঞ্জের রনির ঢাকার বাড়িতে শোকের মাতম

স্টাফ রির্পোটার : সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে গিয়ে আটজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নিহত ইমাম হোসাইন রনির (৪০) বর্তমান বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গীতে। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামে তাদের বাড়ী।

তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতের পর থেকেই বাড়িতে মাতম চলছে। স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশের পরিবেশ যেন ভারী হয়ে উঠেছে। স্বজনেরা দ্রুত রনির মরদেহ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) রনির বাড়িতে সরেজমিনে দেখা যায়, আহাজারি করছেন তাঁর স্ত্রী শিমু আক্তার (২৮)। বাবা আব্দুল লতিফ (৭০) ছেলে হারিয়ে অঝোরে কেঁদেই চলেছেন। ছোট ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা মনে করে বড় বোন হাজেরা খাতুন (৪৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।

নিহত রনির ছোট ভাই হোসাইন আহমেদ জসিম জানান, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে তাঁদের গ্রামের বাড়ি। টঙ্গীর বড় দেওড়া জামে মসজিদ রোডে বাড়ি করে দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁরা সপরিবারে বসবাস করে আসছেন। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে রনি দ্বিতীয়। রনি দেওড়া এলাকায় টেইলার্স ও মুদি দোকানের কাজ করতেন।

ব্যবসায় লোকসান হওয়ার পর পাড়ি জমান সৌদি আরবে। বিগত ৮ বছর যাবৎ সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। গত দুই মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে আসেন। ছুটি কাটিয়ে গত শনিবার সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন।

হোসাইন আহমেদ জসিম আরও বলেন, ‘আগামী ১ এপ্রিল তাঁর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে হাতে বেশ কিছুদিন সময় থাকায় ওমরা হজ পালন করে সবার জন্য দোয়া করার কথা ছিল ভাইয়ার।

সেই আশা আর পূরণ হলো না তাঁর। সরকার তাঁর লাশ দ্রুত ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করি।’
রনির ছোট বোন সীমা আক্তার বলেন, রনি দাদা দুই মাসের ছুটিতে ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে বাসায় আসেন ও ৭ তারিখে বিয়ে করেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী এক সন্তান রেখে তাঁকে তালাক দিয়ে চলে গেছে।

দাদার প্রথম পক্ষের একমাত্র ছেলে ইসমাইল হোসেন (১১) স্থানীয় এরাবিক ইনস্টিটিউট নামের একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাঁর ছেলে ইসমাইল দাদার সঙ্গেই থাকে। এ অবস্থায় ছুটিতে এবার বাড়ি এসে শিমু আক্তারকে বিয়ে করেছিলেন।

সম্পর্কিত খবর