হাজীগঞ্জ ও মতলবের আওতায় থাকা জমজমিয়া খাল খনন

বিশেষ প্রতিনিধি: চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ও মতলব দক্ষিন উপজেলা এলাকার ৫.৫০ কিলোমিটার খাল পুন:খনন করা হলে এ এলাকার ২০ হাজার কৃষক সেচ সুবিধার আওতায় আসবে।

এ ছাড়া এই খালটি পুন:খনন করা হলে দুই পাড়ের ৫ হাজার একর জমি আবাদ উপযোগী ও পাশাপাশি অনাবাদি থাকা আরো দুই হাজার একর জমি আবাদ যোগ্য করার আওতায় আসবে বলে বিএডিসি প্রকৌশলীরা ধারনা করছেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে শুরু করে মতলব দক্ষিণ উপজেলার একাংশে অবস্থিত জমজমিয়া খাল দীর্ঘ বহু বছর সংস্কার কিংবা পুন:খনন হয়নি। যার ফলে প্রায় ২০ হাজার কৃষক সেচ সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যা সমাধানে খাল পুন:খননের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। খনন কাজ শেষ হলে পানি প্রবাহ এবং ফসল উৎপাদন এ এলাকায় বাড়বে।

রবিবার (১২ মার্চ) খালের হাজীগঞ্জ অংশে ৫.৫০ কিলোমিটার খাল পুন:খনন কাজের উদ্বোধন করেন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসি কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কুমিল্লা রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী (নির্মাণ) প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ, চাঁদপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) ইমরুল কায়েস মির্জা কিরণ।

সহকারী প্রকৌশলী ইমরুল কায়েস মির্জা কিরণ জানান, এই খালটি পুন:খনন করা হলে দুই পাড়ের ৫ হাজার একর জমি আবাদ করার পাশাপাশি অনাবাদি আরো দুই হাজার একর জমি আবাদ করার আওতায় আসবে। এই খালটি খনন না করায় পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়েছে। যার ফলে আবাদি জমিগুলোতে পানি পৌঁছায়নি। আবাদি জমি হ্রাস হওয়ার এটিও একটি কারণ।

তিনি আরো জানান, খাল খননের পরে দুই উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে খাল পাড়ের জমিগুলোর ফসল তিনগুন বৃদ্ধি পাবে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও পানি নিস্কাশন স্বাভাবিক থাকবে। সার্বিকভাবে দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এ এলাকার কৃসকরা।

সম্পর্কিত খবর