মতলবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্চে জাটকা ইলিশ

স্টাফ রিপোর্টার :চাঁদপুরের মতলব উত্তরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অধিকাংশ হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ হচ্ছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১২টা এবং ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মেঘনার তীরবর্তী গ্রামগুলোতে দেদারছে জাটকা কেনাবেচা চলছে। প্রতি কেজি জাটকা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জাটকা বিক্রি বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে ইলিশ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

সূত্র জানিয়েছেন, মেঘনা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রলার, ও মিনিট্রাকে করে প্রতিনিয়ত ইলিশের পাশাপাশি জাটকা নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলার ফরাজীকান্দী আমিরাবাদ মাছের আড়ৎ, ষাটনলের বাবুর বাজার মাছের আড়ৎ, এখলাছপুর লঞ্চঘাট, সটাকী বাজার ও ছেংগারচর বাজারসহ ছোট-বড় হাট-বাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে । কিন্তু এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই জাটকা শিকার করতে হয়।

ছেংগারচর বাজার থেকে জাটকা ক্রেতা বাদশা মিয়া বলেন, বড় ইলিশ মাছের দাম বেশি তাই কমদামে জাটকা ইলিশ কিনেছি। নিয়মিতই এই বাজারে জাটকা পাওয়া যায়। উপার্জন কম তাই জাটকা কিনছি। প্রশাসন যদি জাটকা ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিভাবে ছেংগারচর বাজারে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি হচ্ছে এরকম টা জানতে চাইলে মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম ফোন রেখে দেন।

সম্পর্কিত খবর