শাহমাহমুদপুরে ফসলি জমিতে ভেকু ও নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দিয়ে পুকুর খনন

স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড শাহতলী গ্রামে সরকারি অনুমতি ছাড়াই চলছে ফসলি জমিতে ভেকু এবং নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দিয়ে পুকুর খননের কাজ। এভাবে ফসলি জমি খনন করতে থাকলে দিন দিন হারাতে থাকবে গ্রামের সবুজ শ্যামল ফসলের মাঠ এমনটাই আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

এদিকে সরকারি বিধি মোতাবেক, কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা যাবে না। ক্ষেত্র বিশেষে পুকুর খননের প্রয়োজনীয়তা থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা যাবে। কিন্তু এখানে এসবের কোন কিছুই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

এছাড়াও বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন; কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এসব আইনের কোনো প্রয়োগ না করায় প্রতিনিয়ত অসচেতন এবং অর্থশালী বিত্তবান ব্যক্তিদের দ্বারা নষ্ট হচ্ছে ফসলের জমি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী গ্রামের বাসিন্দা মৃত খন্দকার হাফেজ মিয়ার ছেলে খন্দকার আমিনুল হক মহন (৬০) শাহতলী মৌজায় খন্দকার বাড়ির পশ্চিম পাশে তার প্রায় দেড় একর ফসলি জমিতে ভেকু এবং নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কেটে করছেন পুকুর খনন।

যেখানে পুকুর খননের জন্য প্রশাসনিক কোন অনুমতি নেই। তবে পুকুর খননকারী খন্দকার আমিনুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ফসলি জমিটি আমার। আমার জমিতে আমি পুকুর খনন করছি।

এই বিষয়ে ইউএনও সানজিদা শাহ্ নাজ বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হেদায়েত উল্যাহ বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। তবে এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিবো।

সম্পর্কিত খবর