চাঁদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ জেলের কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ১৫ জেলেকে দুই মাস ১৫ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন।

কারাদন্ড প্রাপ্ত জেলেরা হলেন-মতলব উত্তর উপজেলার ধলু (৪৫), আবুদস সালাম (৪৫), আনছার আলী (৬৭), ইয়াছিন মোল্লা (৩৭), জুয়েল (৩৫), ময়নাল হক (৩৮), সোহরাব হোসেন (৪০), মো. আল-আমিন (২২), আবদুল কাদির (৩৫), মো. বিল্লাল খান (৪০), কুমিল্লার মেঘনা থানার মো. রাসেল (২২), মো. গোলাজার হোসেন (৩৮), মো. কামাল, শরীয়তপুর জেলার শখিপুর থানার (২৫), বিল্লাল হোসেন (২৯) ও মো. নাসির (৪০)।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চাঁদপুর মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ১৭জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দির সাগর (১৪) ও কুমিল্লার মেঘনা থানার সোহাগ (১৫) অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পরিবারে জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। বাকী ১৫জনকে দুই মাস ১৫ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

তিনি আরো বলেন, অভয়াশ্রম এলাকার মেঘনা মোহনা হতে রাজরাজেশ^র, কাচিকাটা ও সুরেশ^র চ্যানেল পর্যন্ত অভিযানের সময় দুই লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৪টি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা ও ২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।

এছাড়াও একটি মশারি জাল জব্দ করে ১০০ কেজি চেওয়া মাছ নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

সন্ধ্যায় জব্দকৃত কারেন্টজাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট, জাটকাগুলো স্থানীয় এতিমদের মাঝে বিতরণ এবং নৌকাগুলো কোস্টগার্ডের হেফাজতে রাখা হয় বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।

পদ্মা-মেঘনায় জাটকা রক্ষায় সরকার ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। মৎস্য আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর