ফরিদগঞ্জে ২৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার !

মামুন হোসাইন : ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পরও ফরিদগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উপজেলার ২৩১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই শহীদ মিনার। প্রতি বছরই ভাষা দিবস তথা ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালনের বাধ্যবধকতা রয়েছে। তবে শহীদ মিনার না থাকলেও কোথাও কোথাও অস্থায়ী ভাবে নিমার্ণ করে দিবসটি পালন করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলায় ২৯৬ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯০টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৬ টি, উচ্চ মাধ্যমিক ৯টি ও দাখিল মাদ্রাসা ২৪টি, আলিম ও ফাজিল মাদ্রাসা ২৬ টি এবং কামিল মাদ্রাসা ১টিসহ সর্বমোট ২৯৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮টি, কলেজ ৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০টি, মাদ্রাসা ৮ টি সর্বমোট ৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শহীদ মিনার গড়ে উঠেনি।

ফরিদগঞ্জ এ আর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে আরো আগ্রহ প্রকাশ করবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দিবস সম্পর্কে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মশিউর রহমান মিঠু বলেন, জেলা পরিষদ থেকে পুর্বে সকল প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৫ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনার নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সে সকল প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার তাসলিমুন নেছা বলেন, উপজেলার শিক্ষা অফিসারদের সাথে আলাপ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা যায় তার চেষ্টা করবো।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা প্রয়োজন। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শহীদ মিনার সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। এই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

সম্পর্কিত খবর