তরপুরন্ডীতে মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা

স্টাফ রিপোর্টার : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মেঘনা পাড়ের জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ইলিশ যখন মা হিসেবে মেঘনায় আসে, তখন তাকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। সে হয়ত লাখ লাখ ডিম ছাড়ে।

অর্থাৎ একটি ইলিশ ২৬ লাখ ডিম ছাড়ে। এর মধ্যে যদি আমরা এক হাজার বাঁচিয়ে রাখতে পারি তাহলে সেটাও আমাদের জন্য বিরাট বিষয়। এছাড়াও আপনাদের জালে যখন মাছ ছাড়া অন্য জলজ প্রাণী কিংবা ছোট মাছের রেনু পোনা ধরা পড়ে, তখন সেগুলো নৌকায় না পেলে পানিতে ছেড়ে দিবেন। তখন ইলিশের পাশাপাশি এ মাছগুলো আপনাদের জন্য সম্পদ হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরন্ডী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী মৎস্যজীবীদের মাঝে মধ্যবর্তী মূল্যায়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত জেলে ও জেলে নেতাদের সমস্যা ও দাবীর কথা শুনেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নীলুফা আক্তার, মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, উপ-পরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা) মো. সাহেদ আলী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পুলকেশ মন্ডল, উপ-সচিব পরিকল্পনা কমিশন সৈয়দ জাহিদুল আনাম, আইএমইডির উপসচিব সমর কান্তি বসাক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান ও মো. মামুন অর রশিদ চৌধুরী, চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মুকবুল হোসেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তানজিমুল ইসলাম, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারি প্রকল্প পরিচালক মো. সুলতান মাহমুদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সদর উপজেলার ক্ষেত্র সহকারি মোঃ জামিল হোসেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিসহ স্থানীয় জেলেরা।

সভায় মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, আজকের মতবিনিময় সভায় জেলেদের পক্ষ থেকে যেসব দাবীগুলো উত্থাপন করা হয়েছে এবং তাদের সমস্যার কথা বলা হয়েছে সেগুলো প্রধান অতিথি বিবেচনা করবেন।

এছাড়া ইলিশ সম্পদ উন্নয়নের জন্য বিশাল নদীতে যে পরিমান লোকবল নিয়ে মৎস্য বিভাগ কাজ করা দরকার সে পরিমান লোকবল নেই। যে কারণে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য নিয়ে অভিযান ও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় এক্ষেত্রে জেলে নেতা ও জেলেদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে।

সভা শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য মৎস্য কর্মকর্তাগণ স্থানীয় জেলেদের নৌকা, জাল ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি পরিদর্শন করেন এবং জেলেদের সাথে কথা বলেন।

সম্পর্কিত খবর