বাগাদীতে বিয়ে বাড়িতে পুলিশের হানা : বন্ধ করলো বাল্যবিবাহ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮ নং বাগাদী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ঘাসিপুর গ্রামে ট্রিপল নাইনে ফোনে বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক বিয়ের বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। বাল্য বিয়ের সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পর অবশেষে চাঁদপুরে ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন।

কিন্তু চাঁদপুর সদর এসিল্যান্ড হেদায়েত উল্লাহ ও মডেল থানার পুলিশ যাওয়ার পরেও ধুমধাম ভাবে আয়োজন করে বর পক্ষের লোকজনদের দুপুরের খাবার খাইয়ে বাকি কাজ গোপনে সম্পূর্ণ করে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮ নং বাগাদী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ঘাসিপুর গ্রামের ইটালি প্রবাসী খোরশেদ আলমের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে ফাহমিদা ইলমার সাথে ফরিদগঞ্জ ১০ নং গোবিন্দপুর শোভন গ্রামের মুক্তার খানের ছেলে নানীপুর খান বাড়ি মসজিদের ইমাম হাসান খানের বিয়ের বিষয় চূড়ান্ত হয়।

প্রবাসীর মেয়ের জন্ম তারিখ গোপন রেখে ঢাকা থেকে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে এনে এই বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ৯৯৯ সংবাদ পেয়ে মডেল থানার এএসআই কফিল উদ্দিন সঙ্গেয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়।

মেয়ের কাগজপত্র জটিলতা ও বাল্য বিয়ের ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার পর চাঁদপুর মডেল থানা ওসি আব্দুর রশিদকে অবহিত করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানতে পেরে চাঁদপুরের সদর ভুমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

মেয়ের পরিবার বাল্যবিবাহ না দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও পুলিশ ও ভূমি কর্মকর্তা সেখানে থেকে যাওয়ার পর ধুমধাম ভাবে বর পক্ষের লোকজনদের দুপুরের খাওয়া খাইয়ে দিয়ে বিয়ের কাজ গোপনে সম্পন্ন করেন।
পুলিশ ও ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশনা অমান্য করে এভাবে বাল্যবিবাহ দেওয়ার ঘটনায় জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

তবে এই ঘটনাটি মেয়ের খালু ওয়ারলেস বাজারের ভাঙ্গারির ব্যবসায়ী জাকিরের নেতৃত্বে এই বাল্যবিবাহ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

সম্পর্কিত খবর