আলগী উত্তর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার: হাইমচর উপজেলার ২ নং দূর্গাপুর আলগী উত্তর ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাযায়,এই ইউনিয়নে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৫ টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে এবং প্রতিটি প্রকল্পেই লেবার সংখ্যা প্রায় ৩০ জন করে।৫ টি প্রকল্পে মোট আর্থিক বরাদ্দের পরিমান দাড়ায় ২৪ লক্ষ টাকা। গতকাল এই ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২ টি প্রকল্পের নাম মাত্র কাজ করানো হয়েছে।

যেখানে মোট কাজের ৫% কাজও করানো হয়নি।এবং প্রকল্প গুলোতে লেবার সংখ্যা ৩০ জন করে থাকলেও ৫/৬ জন লেবার দিয়ে কাজ করানো হয়েছে বলে জানাযায়। এমনকি এক ওয়ার্ডের কাজের প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে অন্য ওয়ার্ড মেম্বারকে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানাযায়, এই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সহিদ হাফেজের বাড়ি হতে ইউনুছ শেখের বাড়ি পর্যন্ত যে প্রকল্পটি রয়েছে তার সভাপতি করা হয়েছে ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বারকে এবং ৪ নং ওয়ার্ডের সাজিরপুল হতে লতিফ ছৈয়ালের বাড়ি পর্যন্ত যে প্রকল্পটি রয়েছে কাগজে কলমে তার সভাপতি ওয়ার্ড মেম্বার হলেও সেই প্রকল্পের কাজ করান ইউপি চেয়ারম্যান।

এমনকি বর্তমানে এই ইউনিয়নে সবগুলো প্রকল্পের কাজই বন্ধ রয়েছে। আর এমন হজবরল কাজ দেখিয়েই ইতিমধ্যে ২ সপ্তাহের বিল হাতিয়ে নিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ও ইউপি সদস্যরা।

এবিষয়ে স্থানীয় একাধিক লোক জানায়, ৪/৫ দিন কাজ করানো হয়েছে।প্রতিদিন ৫/৬ জন ছিল ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য বলেন, চুরি করলে সবাই একসাথে করব। কিন্তু হেতে তো( চেয়ারম্যানকে বুঝিয়েছে) কিছুই জানায়নি। হেতে সব মারি দেয়।

৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাসুদ খান বলেন,প্রকল্পে আমাকে সভাপতি দেখানো হয়েছে। কিন্ত ভাই কাজতো করায় চেয়ারম্যান সাহেব। আপনারাতো সবই বুঝেন। আমি কোন বিলও পাইনি।

এবিষয়ে (মুঠোফোনে) ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। বলেন, আপনি ইনকয়ারি করার কে। গত বছর বিভিন্ন ইউনিয়নে এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এজন্য এখনো আমরা তেমন কোন কাজ করাইনি।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, আমি জানি কাজ চলমান। এখন সেখানে কতটুকু কাজ হয়েছে তা না দেখে বলতে পারবো না।

সম্পর্কিত খবর