শাহরাস্তি মেহার উওর ইউনিয়নের ভিজিডির তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম

স্টাফ রিপোটার: শাহরাস্তির মেহার উওর ইউনিয়নের দু:স্থ মহিলা উন্নয়ন(ভিজিডি)কর্মসূচীর ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (বিডব্লিউবি) কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে মেহার উওর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: তাজুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ধীন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি)কর্মসূচীর ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (বিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জানুয়ারী ২০২৩ থেকে ৩১ডিসেম্বর ২০২৪ ইং চক্রের বিডব্লিউবি) উপকারভোগী বাছাই-নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরনের বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে জনবলের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা নিয়ম পরিপএ থাকলে ও ইউপি চেয়ারম্যান মো: জহিরুল ইসলাম মজুমদার গোপনে পকেটের লোকদের নাম দিয়ে তালিকা প্রেরন করেছেন।

সরকারী পরিপএ ও নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে এ ইউপি চেয়ারম্যান প্রচার প্রচারনা না করে কোন ইউপি সদস্যকে বিষয়টি না জানিয়ে প্রকৃত দুস্থ,অসহায় জনগোষ্ঠীর নাম না দিয়ে নিজের আত্বীয়- স্বজনদের নাম দিয়ে তালিকা প্রেরন করেছেন।

সরকারী পরিপএ ও নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে এ ইউপি চেয়ারম্যান প্রচার প্রচারনা না করে কোন ইউপি সদস্যকে বিষয়টি না জানিয়ে প্রকৃত দুস্থ,অসহায় জনগোষ্ঠীর নাম না দিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়, নিজের আত্বীয় স্বজন ও পকেটের লোকদের নাম দিয়ে তালিকা প্রেরন করেছেন, যাহা পরিপএ ও সরকারী নিয়মনীতির পরিপন্থী।

এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিতে ইউপি সদস্যদের নাম বা কমিটিতে রাখার নিয়ম থাকলে ও তাদের নাম রাখা হয়নি।

এ বিষয়ে মেহার উওর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মজুমদার জানান, ৩ মাস যাবৎ আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে সময় কম দিয়েছি,ইউপি সচিব মেম্বারদের সহযোগিতা নিয়ে দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) তালিকা জমা দিয়েছেন।

জানেনইতো প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছি, সবকিছু বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে, তবে কথা দিচ্ছি ভবিষৎতে এমন ভুল হবেনা, এ বিষয়ে ইউপি সাহেব ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে ইউপি সচিব সাইফুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান সাহেব যে তালিকা দিয়েছেন সে তালিকা আমরা উপজেলায় প্রেরন করেছি। তবে ১০/১৫ টি নামের তালিকা উপজেলা বিষয়ক কর্মকর্তা সংযোজন করেছেন। প্রচার- প্রচারনা বা ইউপি সদস্যদের বিষয়টি জানানোর ব্যবস্থা চেয়ারম্যান সাহেব করেছেন কিনা, তিনি ভালো বলতে পারবেন। তবে আমরা চিন্তা করেছি,যারা অনলাইনে আবেদন করেছেন ১ জনের ৩০ কেজি ভিজিডি ১৫ কেজি করে ২ জনকে ভাগ করে দিব।

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও (বিডব্লিউবি) সদস্য সচিব মাকছুদা আক্তার জানান, আমি কোন উপকারভোগীর নাম দেইনি, চেয়ারম্যান ও সচিব সাহেব স্বাক্ষরিত যে তালিকা প্রেরণ করেছেন সে তালিকা আমরা নির্বাচনের জন্য প্রেরন করেছি। তবে ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম নাম প্রেরনে অনিয়ম ও তাকে কমিটিতে না রাখায় এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে তদন্তকালে উপকারভোগী বাছাইয়ে কিছু অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে, তবে ভবিষৎতের জন্য চেয়ারম্যান সাহেবকে সতর্ক করা হয়েছে, তিনি এ বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থী । অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট প্রেরন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও (বিডব্লিউবি) সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ন রশিদ জানান, এ বিষয়ে একজন ইউপি সদস্য লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপকারভোগী বাছাইয়ে কোন অনিয়ম হলে কোন ছাড় দেয়া হবেনা।

সম্পর্কিত খবর