ফরিদগঞ্জ কৃষির জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি

মোঃ মহসিন হোসাইন : ফরিদগঞ্জ লোহাগড়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তার হোসেন কৃষি জমির ফসল নষ্ট করে মাটি কেটে বিক্রি করছেন ইটভাটার জন্য।

গতকাল সোমবার (৫জানুয়ারী) দৈনিক চাঁদপুর খবর প্রতিনিধি একটি বিশেষ সূত্রে জানতে পারে যে, ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন লোহাগড়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তার হোসেন কৃষি জমির মাটি বিক্রি করছেন স্থানীয় ইটভাটা ব্যাবসায়ীদের নিকট । এ সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তিনি মোট ২০শতাংশ জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় ব্রিকস এবিএম এর নিকট।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আসেপাশের কৃষি জমির ফসল নষ্ট করে অবৈধভাবে ভেকু ব্যাবহার করে তিনি এ ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছেন। এতে যেমন রাস্তাঘাটের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে আসেপাশের মানুষজনের আবাদী ফসল উৎপাদন। এছাড়াও ব্যাপক হারে মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।

পরিবেশ আইনে উল্লেখ আছে যে, আবাদী ফসলি জমিতে ভেকু ব্যাবহার করে মাটি কাটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে, যদিও এটি নিজের জমি বটে কিন্তু পরিবেশ ও ফসলের কথা চিন্তা করলে দেখা যায় যে, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এক পর্যায়ে লোহাগড়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তার হোসেন এর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানান মোট ২০ শতাংশ জমির মাটি তিনি বিক্রি করছেন। তবে তিনি একা নয়। তার সাথে আরো তিনজন আছে। তারা মোট চারজন এই কাজে জড়িত রয়েছেন। এলাকার মধ্যে শিক্ষকতার পাশাপাশি তারা এই ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ব্যাবসায় দীর্ঘ দিন যাবৎ করে আসতেছেন। যদিও বাকি তিনজনের নাম তিনি প্রকাশে অনিচ্ছুক বলে জানান।

দিনের বেলায় কাজ বন্ধ রেখে রাতের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে এই মাটি কাটার ব্যাবসা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিকদের সামনে আসতে নারাজ হলেও পরে তিনি তার বক্তব্য দিয়েছেন।
এক পর্যায়ে বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের অর্থ দেওয়ার জোর চেষ্টা করলে সাংবাদিকগন সেখান থেকে চলে আসে।

টাকা না নেওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ মামুন হোসেন সহ আরো কয়েকজনকে দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী (ভূমি)কে সাংবাদিকগন উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত করেছেন।

তবে, তিনি (মোক্তার মাস্টার) সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায় হুমকি দিয়ে বলেন সাংবাদিকদের নামে চাঁদাবাজি মামলা করবে।
এই নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার কথা বলা হয়েছে মাস্টার মোক্তার হোসেন এর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন । তবে, তারা বরাবরই সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

এই বিষয়ে স্থানীয় রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মামুন হোসেন নিজেও ফোনে কল দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং বিভিন্ন ভাবে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পর্কিত খবর