কচুয়ায় সপ্রাবি সম্পত্তি দখল করে ইউপি চেয়ারম্যানের পারিবারিক বাগান !

স্টাফ রির্পোটার : কচুয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে পারিবারিক বাগান করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সওদাগর। তিনি কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর পাশেই একটি বাগানে সাটানো রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানের নাম ও ছবি সম্মেলিত একটি সাইন বোর্ড। তিনি তার দখলীয় বলে নিজের নাম, পদবী ও ছবি দিয়ে দলীয় সত্ত্বে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে রেখেছেন। পাঠদান চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণিতে ৭জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ৮জন ও তৃতীয় শ্রেণিতে ৩জন শিক্ষার্থী উপস্থিত দেখতে পাওয়া যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখলের সত্যতা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার বলেন, উপজেলার ১৫১ নং লুন্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ শতক সম্পত্তির মধ্যে ২৪ শতক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দখলে রয়েছে। বাকী ৯শতক সম্পত্তিতে ওই এলাকার বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান সভাপতি আব্দুস সালাম সওহদাগরের পারিবারি বাগান তৈরি করে দখলে রেখেছেন।

স্থানীয়রা জানান, পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান ভাতিজা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পারিবারিকভাবে ও প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তারের যোগসাজশে সম্পত্তি দকল করে রেখেছে। পরিচালনা পর্ষদের অবহেলার কারনে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। এখানে শিক্ষার কোন পরিবেশ ও শিক্ষকদের তদারকির অভাব, পাঠদানে অমনোযোগীতার না থাকার ফলে ক্রমেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে ৩০/৩৫ দাড়িয়েছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক পারভীন আক্তার নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। মাঝে মধ্যে আসলেও স্বল্প সময় অবস্থান করে উপজেলার মিটিং আছে বলে স্বাক্ষর দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, পাশ^বর্তী গ্রামেরই প্রধান শিক্ষকের বাড়ি। তিনি সব সময় দাপট খাটিয়ে চলেন। তার ভয়ে আমরা মুখ খুলতে পারিনা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তিতে পারিবারিক বাগান তৈরি সত্যতা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সওদাগর বলেন, আমি পরিত্যক্ত জায়গায় ফলফলাদি গাছের বাগান করেছি। আপনারা বললে আমি গাছ কেঁটে ফেলবো। স্কুলের কোন জায়গা আমি দখল করিনি।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সুভাশ চন্দ্র জানান, বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বেদখলে থাকার বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আমাদের অবহিত করেননি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকদেরকে বারংবার তাগিদ দেওয়া সত্তেও কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। প্রধান শিক্ষকসহ ৫ সহকারি শিক্ষককে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত না থাকার কারনে ইতিমধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বলেন, সার্ভেয়ার নিয়োগ করে অচিরেই বিদ্যালয়ের সম্পত্তি নির্ধারন করা হবে।

সম্পর্কিত খবর