কচুয়ায় ড. সেলিম মাহমুদের নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব,কচুয়া : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কচুয়া আসনে নৌকার প্রার্থী প্রফেসর ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, আজকে আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির এক সন্ধিক্ষণে আছে। অন্যদিকে কচুয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও এই মূহুর্তে সন্ধিক্ষণ চলছে। জাতীয় রাজনীতির সন্ধিক্ষণ বলছি এ কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রায় ১ দশকেরও বেশি সময় ধরে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভুন্ডুল ও বানচাল করার জন্য দেশী-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে আসছে বিএনপি-জামায়াত। তারা যে কোন মূল্যে এদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে এদেশের অর্থনীতির যে ভীত রচনা করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সে অর্থনীতিকে তারা ধ্বংস করতে চায়।

তিনি আরো বলেন, আজকে যে নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র সেটি নতুন কিছু নয়। আপনারা যদি বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করেন গভীরভাবে সে নির্বাচন কেন হয়? নির্বাচন হয় ক্ষমতা পরিবর্তণের জন্য। গণতন্ত্রের বিশে^ নির্বাচন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করবে। জনগণ তাদের ভোট দিবে। যারা নির্বাচিত হবেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে তারা সরকার গঠন করবেন। আর যারা পরাজিত হবে তারা খুশি মনে বিরোধী দলে যোগদান করবেন। তারা নানা কাজে সরকারকে সহযোগিতা করবে। এটাই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি।

এই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে একটি রাষ্ট্র স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এই ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে বাংলাদেশে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। আজকে বিএনপি নির্বাচন বর্জন, প্রতিহত ও গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। ৭৫’রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল কারন ছিল, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে কখনো নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে না। সে জন্য তারা এ বিপদগামী পথ বেছে নিয়েছে। ৫৫ হাজার ৫শ ৫৮ বর্গ মাইলের জমির মালিক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ৭ই জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় গণসংযোগকালে ড. সেলিম মাহমুদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মর্ফিজুর রহমান বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার একেএম মোতালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম, জেলা পরিষদের সদস্য তৌহিদুর ইসলাম খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ড. নিজাম, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সওদাগর, সাবেক চেয়ারম্যান আহসান হাবীব জুয়েল, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার সিকদার প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর