চাঁদপুর-২ আসনে নৌকা এগিয়ে

শামীম আহম্মেদ জয় :  আসন্ন  জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর ২ আসন মতলব উত্তর ও দক্ষিন নিয়ে গঠিত, মতলব উত্তর ও দক্ষিনে বইছে নির্বাচনি হাওয়া।

এখানে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।  মতলব উত্তর দক্ষিনের  সর্বসাধারণের  সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

দুর্নীতিমুক্ত, জনবান্ধব, উন্নয়ন বান্ধব নেতা হিসেবে এলাকায়  তার রয়েছে ব্যাপক সুনাম। যেকোনো মানুষ তার কাছে গিয়ে নির্দ্বিধায় মনের কথা বলতে পারে। আবার দলেও তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল। অতীতে চাঁদপুর ২ আসন থেকে ২ বার এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন ।  গত একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মনোয়ন দিয়েও পরে তা ফিরিয়ে নেন, মায়া চৌধুরী দলের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে দল থেকে মনোনীত এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুলের পক্ষে নৌকার হয়ে কাজ করে নৌকাকে চাঁদপুর ২ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেন।

দলের প্রতি এমন আনুগত্যও তার এবারের মনোনয়ন পাওয়ায় সহায়ক হয়েছে বলে জানা যায়।  এছারা চাঁদপুর ২ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন এম ইসফাক এহসান । এ বিষয়ে নৌকা প্রতিক প্রার্থী মোফাজ্জল হোসাইন মায়া  বলেন, “জনগণের সেবা করার জন্য আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি।  তাদের সেবা করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। মানুষের মাঝে ভীতি ছড়ানো আমার লক্ষ্য নয়। জনগণের পাশে থাকতে পারলেই আমি খুশি। আমার কোনো ক্যাডার বাহিনী নাই এবং প্রয়োজন নেই। জনগন ভোটের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করবেন বলে আশাবদ ব্যক্ত করেন।

গত ২০১৪ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন ও দুর্যোগ ও এান মন্ত্রী হয়ে  মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া  মতলব উত্তর ও দক্ষিণে  ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো দৃষ্টান্ত প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া।  স্কল ও কলেজ নির্মান করা। প্রত্যেকটি জনগনের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া।  এছাড়া মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা,  কৃষকের সেচের পানির ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট পাকা করণ,স্কুল কলেজ নির্মান, গৃহহীনদের বাড়ির ব্যবস্থা করাসহ বহু কাজ করেছেন মন্ত্রী থাকাকালীন।

সাধারণ জনগণের কাছে মায়া চৌধুরী  যে জিনিসটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তা হলো  এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। পূর্বে এলাকায় নানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অশান্ত থাকলেও মায়া চৌধুরী  এমপি হওয়ার পর এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পেরেছে। ফলে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দৌড়ে সাধারণ ভোটারের কাছে অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন  চৌধুরী মায়া।

এবারের নির্বাচনে চাঁদপুর ২  আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মোফাজ্জল হোসাইন মায়া  ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, এম ইসফাক  এহসান  তিনি দলিয় নমিনেশন চেয়ে না পাওয়ায়  এই প্রথম  সংসদ নির্বাচন করছেন । বিএনপি বিহীন সেই নির্বাচনে নৌকা প্রতিক  মায়া চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্ব হিসেবে তিনি কাজ করছেন যদিও মাঠে তেমন নেই। এবারের নির্বাচনেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঈগল  প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। এছাড়া লাঙ্গল মার্কা নিয়ে মাঠে  রয়েছেন, জাতীয় পার্টির  আরেক প্রার্থী ইমরান হোসেন।

এবারের নির্বাচনে এই তিনজন প্রার্থী ছাড়াও রয়েছেন একতারা  প্রতীক নিয়ে মনির হোসেন

যোগ্যতার বিচারে এবারের নির্বাচনে কে বেশি উপযুক্ত এমন প্রশ্নে ছেংঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল আলম জর্জ  বলেন, “শিক্ষাদীক্ষা এবং ভদ্র হিসাবে আমার মনে হয় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এগিয়ে। তাছাড়া গত পাঁচ বছরে এলাকায় যে অশান্তি  ছিল আগে এমন ছিল না।”

ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল চৌধুরী বলেন , মায়া চৌধুরী এমপি হলে আমাদের  উপজেলায় যে উন্নয়ন হয়  তা অন্য কেউ করতে পারেন না । তাই আমি মনে  করি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া যোগ্য প্রার্থী।

উপজেলার অনেকেই মনে করেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া  আবারও মতলব উত্তর দক্ষিণের এমপি হতে চলেছেন।

সম্পর্কিত খবর