চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় ২১ তম দিনে স্মৃতিচারন অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ২১ তম দিবসে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় স্মৃতিচারণ পরিষদের ব্যবস্থাপনায় স্মৃতিচারন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।

তিনি বলেন, ৭৯ এর নির্বাচনে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগকে পাকিস্তান বাহিনী রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বিকৃতি দেয়নি। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র জাতি ধর্ম বর্ণ বিহীন। বর্তমানে এদেশে জাতি ধর্ম বর্ণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এমন বাংলাদেশ গড়তে চাননি, তিনি একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। একসময় বাংলাদেশ ছিল ধ্বংসস্তূপ।

বঙ্গবন্ধু সেই ধ্বংসস্তূপ কে সোনার বাংলায় রূপান্তর করেছেন। এখন যেমন ইসরাইলে ধ্বংসস্তূপ হচ্ছে তেমনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের এমন ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টি করেছিল। সেই সময় পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ লোক মারা যায় সেই ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা তখন চট্টগ্রামের খাদ্য জাহাজ প্রবেশ করতে দেয়নি। বাংলাদেশ যখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সময় এসেছিল ঠিক সেই সময়ই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। বঙ্গবন্ধুকে কারা হত্যা করেছে? কেন হত্যা করেছে? বঙ্গবন্ধু স্ত্রীর কি অপরাধ ছিল।

শেখ কামাল ও শেখ জামাল দুই নব পুত্রবধূর কি অপরাধ ছিল? নববধূদের হাতের মেহেদীর রং শুকাইনি। কি অপরাধ ছিল তাদের। কেন তাদেরকে ব্রাশপায়ার করে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ১১ বছর বয়সী শিশু পত্র শেখ রাসেল। ছোট্ট রাসেলের কি অপরাধ ছিল তাকে কেন হত্যা করা হলো। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি একসাথে যুক্ত ছিল। ১৯৭৫ সালে যারা পাকিস্তান বাহিনীর সাথে হাত করে বঙ্গবন্ধু কে স্বপরিবারে হত্যা করে। যারা যুদ্ধাপরাধী, যারা খুনি ছিল তাদেরকে এই শক্তি বিদেশ থেকে দেশের মাটিতে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল।

যারা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন তাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতা এনে ছিলেন কারা। খন্দকার মুস্তাক ও জিয়াউর রহমান আইন পাস করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না। যে মহান নায়ক না হলে বাংলাদেশ হতো না তার নাম পর্যন্ত নেওয়া নিষিদ্ধ ছিল এক সময়। সত্য সব সময় সত্যই থেকে যায়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা রাস্ট্র ক্ষমতায় আসার পর দেশ ঘুরে দাড়িঁয়েছে।যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার এ মাটিতে করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় না। তারা নিজের টাকায় বড় বড় ব্রিজ কালভাট তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে সংসম্পূর্ন। নিজের দেশ থেকে খাদ্য অন্য দেশে পাঠায়।

বর্তমানে আমাদের দেশে নারীরা এখন সর্বক্ষেত্রে বিচরন করছে। করোনার সময় বলেছিল ২ কোটি লোক এ দেশে মারা যাবে, কিন্তু শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় করোনার টিকা বিনা মূল্যে দিয়েছে। দেশের মানুষ কে করোনার হাত থেকে রক্ষা করেছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এমন একটি সংগঠন তা স্বাধীনতার স্বপক্ষের সংগঠন।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার চেয়ারম্যান জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের কমাণ্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও নাট্যাভিনেতা ও সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোঃ সাখায়েতুর রহমান, নাট্য ব্যাক্তিত্ব শরীফ চৌধুরী।মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা মোঃ মহসিন পাঠান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর