চাঁদপুর ও হাইমচরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর ও হাইমচরে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার ঈগল প্রতীকের প্রচার-প্রচারনা শুরু থেকে অদ্য পর্যন্ত মাইক বন্ধ করে দিয়ে চালকদের হেনস্তা করে মাইক্রোফোন ছিনতাই, বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলা এবং কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের তেতুলতলা এলাকায় ঈগল প্রতীকের প্রচার মাইক বন্ধ করে দিয়ে মাইক চালককে হেনস্তার করে তার মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন মাইম চালককে রক্ষা করে চলে যেতে সাহাস্য করে বলে জানায়।

একই দিনে হাইমচর উপজেলার ৪নং নীলমকল ইউনিয়নের ইশানবালা বাজারে ঈগল প্রতীকের ব্যানার ও পোষ্টার ছিড়ে ফেরার অভিযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ফাড়ির পুলিশ গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, হাইমচর উপজেলার ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নূরের বাজার ব্রীজের উপরে ঈগল মার্কার পোষ্টার লাগাতে গিয়ে নীলকমল ইউনিয়নের ঈগল মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও যুবলীগ নেতা ফারুক মোল্লা ও সাগরকে মারধর করে এবং ঈগল মার্কার পোষ্টার লাগাতে বাঁধা দেয় নীলকমল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু সরকার।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যান হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা, ভুমি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল ফয়সালা, হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসিন।

এরপূর্বে গত ২৭ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে শহরের হাজী মহাসিন রোডস্থ প্রতীগ প্রতীকের প্রচারনা কালে মাইকম্যান আক্তারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে ঈগল প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই নৌকার সমর্থকরা একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলেছে। তারা বিভিন্ন সময় আমার লোকজনকে হুমকি-ধমকি ও মারধর করছে। বাগাদী ইউনিয়নে আমার নির্বাচনী অফিস তালা মেরে দিয়েছে, প্রায় দুই লক্ষ পোষ্টার বিছিন্ন করা হয়েছে, দেড় হাজার উপরে ব্যনার ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকি ভোটকে প্রভাবিত করতে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেছেন যারা ভোটের দিন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়রে পূর্ব চরকৃষ্ণপুর গ্রামে মহিউদ্দিন আল মুনসুর নামে একটি ছেলেকে যেভাবে কোপানে হয়েছে তার বাম চোখটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও একই দিন সদর উপজেলার চান্দ্রা চৌরাস্থা এলাকায় ঈগলের পোস্টার লাগানোর সময়ে চান্দ্রা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন মিয়া বাবুর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আমাদের কর্মী দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানকে মারধর করে পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে।

এসব বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ (জিডি) করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনটির প্রতিকার পায়নি বলে জানানো হয়।

সম্পর্কিত খবর