হামানকর্দ্দিতে গৃহবধূ খুরশিদা বেগমের উপর হামলা

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হামানকর্দ্দি গ্রামের সাত্তার মিজি বাড়ি নিবাসী মৃত কাদির মিজির স্ত্রী গৃহবধূ খুরশিদা বেগমের উপর হামলার ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল ২৬ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ভিকটিম খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় গতকাল চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শেখ মুহসীন আলমের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই আব্দুল কুদ্দুস। পরিদর্শনকালে তিনি ঘটনার সত্যতা পান।

এতে আসামী করা হয়, ১। আবুল বাশার মিজি (৩৫), ২। রবিউল মিজি (৩০), সর্ব পিতা-মোখলেছ মিজি, ৩। মোখলেছ মিজি (৫০), পিতা-মৃত সুলতান মিজি, ৪। ফুলমতি বেগম (৪৫), স্বামী-মোখলেছ মিজি, ৫। মানিক মিজি (২৮), ৬। আউয়াল মিজি (২৭), সর্ব পিতা-মোখলেছ মিজি, ৭। হাসিনা বেগম, স্বামী-আবুল বাশার মিজি, ৮। শারমিন বেগম (২৫), স্বামী-আউয়াল মিজি, সর্ব সাং-হামানকর্দ্দি, ৯নং ওয়ার্ড, পো: শাহতলী, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।

অভিযোগের স্বাক্ষীরা হলো-মমতাজ বেগম (৩২), স্বামী-এছহাক মিজি, ২। আব্দুল রহিম মিজি (২৮), পিতা-মৃত কাদির মিজি, সাং-হামানকর্দ্দি, ৯নং ওয়ার্ড, পো: শাহতলী, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।

অভিযোগে থেকে জানা যায়, উল্লেখিত বিবাদীরা সম্পদ লোভী, লাঠিয়াল মাস্তান এবং এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক হয়। বিবাদীরা আমাদের প্রতিবেশী। বিবাদীদের সাথে পূর্ব থেকে আমাদের জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
আমি আমার সম্পত্তিতে সুন্দরভাবে বসবাস করে আসা অবস্থায় বিবাদীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে। জোরপূর্বক আমার সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করে। এমন অবস্থায় ঘটনার দিন ও তারিখে ২৬ ডিসেম্বর-২০২৩ তারিখে ভোর ৬টায় ১ থেকে ৮ নং সকল বিবাদীরা পূর্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে আমাকে, ১ ও ২ নং সাক্ষীদের বিভিন্ন গালমন্দ করে ও প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দেয়।

আমি বিবাদীদের গালমন্দ করতে নিষেধ করলে বিবাদীরা সকলে আমার ও সাক্ষীদের উপর ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করিয়া আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে আমাকে এলো পাথারী মারধরে করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা পোলা জখম করে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়- ওই সময় আমার চিৎকার শুনে ১ ও ২নং সাক্ষী আমাকে বিবাদীর কবল হতে রক্ষা করতে গেলে বিবাদীরা ১ নং ও ২ নং সাক্ষী এবং অজ্ঞাত আরো সাক্ষীদের এলোপাথারী চড় থাপ্পড় কিল, ঘুশি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক নীলাফুলা জখম করে।

এক পর্যায়ে ১ ও ৭নং বিবাদী ১নং সাক্ষীর জামাকাপড় টানাহেচরা করে বাহির করে তার গলায় থাকা ১টি আট আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও দুই আনি ওজনের কানের দুল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৬২০০০ টাকা।

১নং বিবাদী ১ নং সাক্ষীর হাতে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি সহ উপস্থিত সাক্ষীরা সকলের চিৎকার দিলে স্থানীয় আশেপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে বিবাদীদের কবল থেকে রক্ষা করে। ওই সময় সকলের উপস্থিতিতে বিবাদীরা আমাদেরকে হুমকি প্রদর্শন করে যে আমরা যদি উক্ত বিষয় কোন প্রকার আইনের আশ্রয় কিংবা শালিশ দরবার করি তাহলে আমাদের প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।

সম্পর্কিত খবর