চাঁদপুর-২ আসনে নৌকার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : চাঁদপুর- ২ (মতলব দক্ষিন ও মতলব উত্তর) নিবাচন জমজমাট হয়ে উঠেছে । এ আসনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই জমিয়ে তুলেছেন। এ আসনে ভোটের মাঠে নৌকার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী (ঈগল) প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর। আর এর ফলে নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে দেখা যাচ্ছে ঈগল প্রতীক।

আসন্ন নির্বাচনে নানা কারণেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু চাঁদপুর -২ আসন। এ আসনে বরাবরের মতোই নৌকার প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। তার বিরুদ্ধে এবারো স্বতন্ত্রভাবে লড়ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ইসফাক আহসান (সিআইপি)। আলোচিত এ প্রার্থী প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছেন ঈগলকে।

রাজধানীর সন্নিকটে হওয়ায় এই আসনের গুরুত্ব বেশি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতা ও সরকারের আমলাদের জন্মস্থান এখানে। প্রায় সব সরকারের আমলে এই আসন মন্ত্রী পেয়েছে। তাই উন্নয়নও হয়েছে ব্যাপক। আগামী নির্বাচনেও তেমনটা চান তাঁরা। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক ত্রাণমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।

এ আসনে নৌকার মূল প্রতিদ্বন্ধী (ঈগল) প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান।

তিনি ২০২১ সালে দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সরকারের কাছ থেকে সিআইপি নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে কাজ করে মতলব উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় পৌঁছে গেছেন তিনি। উপজেলার গরীব দুঃখীদের পাশে দাঁড়ানো ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত অবদান রাখছেন তিনি।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন, অসহায় ও নিম্নবিত্তসহ চাঁদপুরের মতলবের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন আহসান গ্রুপের পরিচালক, শিল্পপতি এম ইসফাক আহসান। তিনি হেল্প লাইনের মাধ্যমে মতলব উত্তর উপজেলা ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার অসহায় পরিবারকে উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন। যারাই হেল্প লাইনে সহযোগিতা চেয়ে কল করছেন তাদের বাড়িতেই পৌঁছে দেয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী।

তিনি নির্বাচনী এলাকা মতলব উত্তর দক্ষিণে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২ সহস্রাধিক গৃহীনদের মাঝে বসত ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন, মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গরু ছাগল বিতরণ, বিধতা ভাতা, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজে তার সহযোগিতা ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এম ইসফাক আহসান, সিআইপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ২২তম জাতীয় কাউন্সিল দপ্তর উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।

এম ইসফাক আহসানের বাবা এ এস এম কামরুল আহসান (সিআইপি) মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য। তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মোল্লা নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি নরসিংদী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। এম ইসফাক আহসান ইউকে থেকে ২০০৩ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল এডক্সেল ‘ও’ লেভেল, আমেরিকান কাউন্সিল অফ এডুকেশন থেকে ২০০৫ সালে জিইডি শেষ করেন। এরপর তিনি ২০০৯ সালে লিমককিং ইউনিভার্সিটির লন্ডন ক্যাম্পাস থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসন থেকে অনান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন
জাতীয় পার্টির এমরান হোসেন মিয়া (লাঙ্গল), সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ মনির হোসেন বেপারী (একতারা), জাসদের মোহাম্মদ হাছান আলী শিকদার (মশাল) প্রতীক।

এ আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৬৭২২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩৮৬৩৪ জন এবং নারী ভোটার হচ্ছে ২২৮৫৯৪ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫৫ টি।

সম্পর্কিত খবর