বাবুরহাট ও ২ রামপুর ইউনিয়নে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার পথসভা

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে ঈগল প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী আলহাজ¦ ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যেই সিদ্বান্ত নিয়েছেন এবং তিনি বলে দিয়েছেন জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে জন্য তোমাদের জনতার আদালতে হাজির হও। জনগণ তাদের মূলদিয়ে জনগণ তাদের বিচার বিশ্লেষন করে যেই রায় দিবে সেই রায় অনুযায়ী আমরা সংসদে কাকে নিব সেটা আমরা দেখবো। আজকে সেই লক্ষ্যেই আমি মাঠে নেমেছি। আমি আওয়ামী লীগ করে বলেই ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচন করেছি।

তিনি গতকাল রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের বাবুরহাট বাজার, সদর উপজেলার ২নং আশিকাঠি ইউনিয়ন, ৪নং শাহ মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন এবং ৫নং রামপুর ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী পথসভা ও গণসংযোগ কালে এসব কথা বলেন।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, আমার কাছে দলমত নির্বিশেষে সবাই সমান এবং সকলেই সম্মানিত। যে যেই দলই করুকনা কেন কেউ বলতে পারবেনা আমার কাছে কেউ কখনো অসম্মানিত হয়েছে। আমি জেলা আ.লীগের একযুগ সভাপতি দ্বায়িত্ব পালনকালে আমরা আচার ব্যবহারে কেই কোন দিন অসম্মানিত হয়নি।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাকর্মী নির্যাতিত নিপীড়িত নিগৃহীত অপমান অপদস্থ সম্মান বিবর্জিত হয়েছেন। সম্মান পায় নাই, পদ পদবী পায় নাই। দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে সম্মান, সালাম শুভেচ্ছা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয়ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাকর্মীকে সম্মতি দিয়েছেন। শুধু নির্যাতিত নিপীড়িত নিগৃহীত অবহেলিত সম্মান বিবর্জিত নেতাকর্মী এবং চাঁদপুরবাসীর সকল সমস্যা সমাধানের জন্য এই বয়সে এই সময়ে নির্বাচনকে আমি যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছি।

আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে আছি। আশাকরি আপনারাও আমাদের সাথে এই যুদ্ধক্ষেত্রে থাকবেন।
তিনি বলেন, আমি জানি আমার সমর্থকদের ভয়-ভীতি হুমকি দেখানো হচ্ছে। আপনারা আমার যুদ্ধের সহযোগী সহযোদ্ধা। এই নির্বাচন আমার নয় এই নির্বাচন আপনার জনগণের ও ভোটারদের। আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি। বিচার বিশ্লেষণ করে ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে আসনটি উদ্ধারে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন। আমরা জয়ী হবো শেখ হাসিনা আবারও রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জি. আব্দুর রব ভূঁইয়া, আব্দুর রশিদ সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সদস্য অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সামছুজ্জামান জুয়েল, মজিবুর রহমান মজিব, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর আলম রনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সম্পর্কিত খবর