দৈনিক চাঁদপুর খবর-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রিয় পাঠক, শুভেচ্ছা, অভিবাদন, কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ। আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

সাফল্যের ১৭তম বর্ষ পেরিয়ে ১৮তম বর্ষে পদার্পণের প্রথম দিন আজ। এতে আপনাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার কোনো সীমা নেই। আপনাদের সবার সহযোগিতা আর অংশগ্রহণ নিয়েই ‘দৈনিক চাঁদপুর খবর ’ সারা জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।

চাঁদপুর খবর পত্রিকা ২০০৬ খ্রি. ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তৎকালীন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আবু তাহের মহোদয় এর হাতে থেকে ডিক্লারেশন প্রাপ্ত হয় সাপ্তাহিক হিসেবে। অত:পর দীর্ঘ দশ বছর সাপ্তাহিক হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৬ খ্রি. ২২ ডিসেম্বর চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকাকে দৈনিক হিসেবে ডিক্লারেশন পত্র প্রদান করেন।

সাপ্তাহিকের ১০ বছর এবং দৈনিকের ৭ বছরসহ দীর্ঘ ১৭ বছর পেরিয়ে ১৮তম বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে চাঁদপুর খবর। আজকের এ বিশেষ মুহুর্তে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার পক্ষ থেকে পত্রিকাটির এ শুভ জন্মদিনে পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা, সাংবাদিক, প্রতিনিধি, সুধীজনসহ সকলকে জানাই শুভেচ্ছা।

আপনাদের সবার সহযোগিতায় দৈনিক চাঁদপুর খবর আজ চাঁদপুরের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে পাঠক প্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। ২০০৬ সালের ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে রঙ্গিন ২০ পৃষ্টার সংখ্যার মাধ্যমে চাঁদপুর খবর সাপ্তাহিক পথচলা শুরু হয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করতে করতে গত ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর চাঁদপুর খবর দৈনিক পত্রিকা হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। খুব অল্প সময়ে চাঁদপুর খবর দৈনিকের অনুমোদন পায়। যা খুব কম পত্রিকার ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়েছে।

এ জন্য আমরা চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, সাবেক পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চাঁদপুর মডেল থানা, চাঁদপুর ডিএসবি, ঢাকার এসবি, চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই চাঁদপুর প্রেসক্লাব, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, চাঁদপুর জেলা ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতি।

পত্রিকার অনুমোদন পাওয়ার পরের দিনই ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত দৈনিক চাঁদপুর খবর প্রকাশ করে আসছে। পত্রিকা দৈনিক প্রকাশনার খুব অল্প সময়ে ১৯ মার্চ ২০১৭ দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে পত্রিকাটি সারা বিশ্বে চাঁদপুরকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার রঙ্গিন সংখ্যা পোস্ট করে যাচ্ছি। মানুষ ঘুমানোর আগেই দৈনিক চাঁদপুর খবর ফেসবুকে দেখতে পান।

ফেসবুকে দেশ-বিদেশ থেকে প্রবাসীরা দৈনিক চাঁদপুর খবর দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। দৈনিক চাঁদপুর খবরের প্রচার সংখ্যা প্রতি দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের মুদ্রণ সংখ্যা আজও কমেনি। আমরা পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে সব সময় সচেষ্ট থাকব। আমরা পরিবর্তনের সহযোগী হব। আমরা গণতন্ত্র আর মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের মূল্যবোধকে ধারণ করব। নারী-শিশুর অধিকার ও সংখ্যালঘু অধিকারের জন্যে জোরালো ভূমিকা রাখব। সে লক্ষ্যে আমরা অবিচল রয়েছি এবং আগামিতেও থাকব।

একটি দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিন পাঠকদের সামনে হাজির হয় পরীক্ষার্থীর মতো বা বলা যায়, নির্বাচনের প্রার্থীর মতোও। প্রতিদিনই তার ভোটের দিন।

কেননা পাঠকেরা সিদ্ধান্ত নেন, এটা পাস করল, নাকি ফেল করল। আপনার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে ওই পত্রিকা আজ হোক , কাল হোক, আপনি আর হয়তো পড়বেন না। আমরা এ কথা ভেবে আপ্লুত বোধ করি যে, দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকা সংখ্যা প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। আমাদের মুদ্রণ সংখ্যা কমেনি। এরই মধ্যে আমরা সারা জেলায় মাইল ফলক অতিক্রম করেছি। জেলার শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকার সাথে জরিপেই আমাদের প্রতিদিনের পাঠকসংখ্যা, জরিপকারী পেশাদার প্রতিষ্ঠানের হিসাব অনুযায়ী প্রচার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কাজেই পাঠক সংখ্যাও দিন দিন বেড়েছে।

শুধু প্রচার সংখ্যাই একমাত্র নয়। দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকা প্রতি আপনাদের ভালোবাসার প্রমাণ আমরা নিত্যদিন নানাভাবে পাই। ভালো কাজ করতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হলে উদ্যোগী মানুষ আওয়াজ তোলে- বদলে যাও, বদলে দাও। বলেন, পরিবর্তন হবেই। আর তাঁরা আমাদেরও বলেন, আপনারাও বদলান, ইতিবাচকভাবে বদলান, ভালো থেকে আরও ভালো হোন, তা হলে দেশটাও ভালো থেকে আরও ভালোর দিকে এগোবে।

দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকা প্রতি আপনাদের এ যে ভালোবাসার উৎস কী? আমরা কখনো হয়তো কাগজ-কলম নিয়ে হিসেব করতে বসিনি। কিন্তু আমরা জানি, আজ থেকে ১৭ বছর আগের দিনটি থেকেই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একেবারে পরিষ্কার।

আমরা স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা করব। আমরা কোনো দলের মুখপাত্র হব না, জনগণের পক্ষে কোনো সত্য উচ্চারণে শঙ্কিত হব না। আমরা পেশাদারি দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে সব সময় সচেষ্ট থাকব। আমরা পরিবর্তনের সহযোগী হব। আমরা গণতন্ত্র আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মূল্যবোধকে ধারণ করব। নারী-শিশুর অধিকার, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু অধিকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখব। সে সব লক্ষ্যে আমরা অবিচল রয়েছি।

আমরা চেয়েছি পারিবারিক কাগজ হতে। আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে উঠতে। আমরা তাই এমন কিছু প্রকাশ করি না, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক মূল্যবোধে আঘাত হানে। আবার বাড়ির ছোট্ট শিশুটি থেকে গৃহিণী, কর্মজীবী নারী থেকে প্রবীণতম সদস্যের চাহিদা যেন এ কাগজের মাধ্যমে মেটানো যায়। আজকের এ আনন্দের দিনে আমি আপনাদের একটা চমৎকার তথ্য জানাতে চাই।

www.chandpurkhabar.com এ সাইটে ক্লিক করে পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে চাঁদপুর জেলার খবর জানা সম্ভব।

চাঁদপুর জেলা তথা বাংলাদেশের মানুষ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। তাঁরা নিজেদের ভাগ্য বদলের জন্য গেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা দেশের অগ্রগতিতে বিশাল অবদান রাখছেন। তাঁরা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছেন এবং নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

তাঁরা অবদান রাখছেন নতুন নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে, নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসছেন তাঁরা এই দেশে। নতুন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে দেশে আর দেশের বাইরের পরিবর্তনশীল মানুষের শতমুখী চেষ্টায় দেশ কিন্তু এগিয়েই চলেছে। শত বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশে এগোচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। এই যে মধ্যপ্রাচ্যে বা ইউরোপে, উত্তর আমেরিকায় বা আফ্রিকায় চাঁদপুর তথা বাংলাদেশের মানুষ কাজ করে চলেছেন, তিনি কিন্তু তাঁর দেশকে ভোলেননি, ভাষাকে ভোলেননি, তিনি তাই নিয়ম করে সময় বের করে নেন বাংলাদেশের কাগজ পড়তে, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখতে। সেখানেও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকা ফেসবুকের মাধ্যমে দেখে এবং অনলাইনেও দেখে পাঠকরা।

চাঁদপুর জেলার ইতিবাচক খবর আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই সারা জেলায়। আর এ কাজে আমাদের অনুপ্রেরণা সারা জেলায় ছড়িয়ে থাকা অনেক পাঠক, যাঁরা নিজেরা নানা রকমের ভালো কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। আমরা যাঁরা জেলায় আছি, যাঁরা জেলার বাহিরে আছে এবং বিদেশে আছেন, আসুন সবাই মিলে চাঁদপুর ব্যান্ডিং জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করি।

সম্পর্কিত খবর