চাঁদপুরে তিন মাসেও উদ্ধার হয়নি টেলিফোন ভবনের মালামাল !

স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় ৩ মাস হয়ে গেলেও চাঁদপুর টেলিফোন ভবনের চুরি হওয়া লক্ষাধিক টাকার ব্যাটারি উদ্ধার করা যায়নি।

এমনকি এ ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কিভাবে চুরি হলো এ নিয়ে টেলিফোন ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

চাঁদপুর মডেল থানায় চুরির ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরীর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বাজার পুলিশ ফাড়ির তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিমুদ্দিন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখতে পাই,স্টোর রুমের তালা না ভেঙ্গেই চোর চক্র মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। অফিসে সিসি ক্যামেরা না থাকায় কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে কয়েকজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি তাদের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য পাইনি। তবে এতে অফিসের লোকজনের হাত থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে মামলা করার জন্য বললে তারা কোন কর্ণপাত করেনি।

এদিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়ার্কার মিজান শেখ নামে এক ব্যক্তিকে ফাড়িতে নিয়ে আসে। মিজান শেখ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,এ চুরির ঘটনায় আমি কিছুই জানিনা। সাব স্টেশন ম্যানেজার (অবঃ) মকবুল হোসেন আমাকে বলেছেন চুরি হওয়া মালামাল না পেলে উনাকে কৈফিয়ত বা জরিমানা দিতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নভেম্বরেই সাব স্টেশন ম্যানেজার মকবুল হোসেন অবসরে যান। জেলা প্রশাসনের অনুরোধে তিনি এখনো কর্মরত রয়েছেন। ৩০ নভেম্বর সরাসরি তাহার সাথে কথা বললে মকবুল হোসেন জানান, স্টোর রমের চাবি আমার কাছে এবং লাইনম্যান তাপসের নিকট থাকে।রুম ঝাড়ু দেয়ার জন্য সুইপারকে চাবি দেয়া হয়। ৪০ টি ব্যাটারি চুরি হয়েছে। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে কাউকে সন্দেহ করেন কিনা প্রশ্নে তিনি কারো নাম বলতে পারেন নি। পুলিশের কাছে কয়েকজনের নাম শুনা গেছে এরকম কথা বললে তিনি লাইনম্যান ফরিদ মোস্তান এবং তাপসের কথা বলেন।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সাব স্টেশন ম্যানেজার জুনিয়র এ এফ এম মজিবুর রহমানের সাথে কথা বললে, তিনি দায়সারা জবাব দেন।হ্যা পুরোনো কিছু ব্যাটারি খোয়া গেছে। থানায় অভিযোগের অগ্রগতি সম্বন্ধে জানতে চাইলে বলেন, এ ব্যাপারে লাইনম্যান ফরিদ মস্তান ভাল বলতে পারবে। সেই থানার সাথে যোগাযোগ রাখছে। অভিযোগের অনুলিপি কপি দেখতে চাইলে সেটা ফরিদের কাছে আছে বলে জানান।

এ ব্যাপারে লাইনম্যান ফরিদ মস্তানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে,তিনি চুরির ব্যাপারে কোন কিছুই জানেন নি। অভিযোগের কোন কপিই তার কাছে নেই। কর্মকর্তাদের রেফারেন্স দিয়ে কথা বললে তিনি জানান উনারা দায় এড়ানোর কথা বলেন।

এদিকে অনুসন্ধানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এ প্রতিবেদককে জানান, ২২ সেপ্টেম্বর ২৩ শুক্রবার স্টোর রুম থেকে অনেকগুলি ব্যাটারি চুরি হয়। যা অনেক ভারী। এগুলো একবারে চুরি করা সম্ভব নয়। সুইচ রুমে এ ব্যাটারি গুলো ব্যবহার হতো। এ চাবী দাড়োয়ানদের কাছেও থাকতো।

৪ জনের স্থলে বর্তমানে ২ জন দাড়োয়ান রয়েছে। স্যার কেন দারোয়ানদের সন্দেহ করছেন না তা বোধগম্য নয়।তবে অফিস থেকে প্রায়ই লক্ষলক্ষ টাকার ক্যাবলসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চুরি হয়। যার কোনটারই সুরাহা হয়নি আজো।

 

সম্পর্কিত খবর